সংক্ষিপ্ত

মমতা আরও বলেন, 'আমি চাকরি দেব। তাতে যদি কোনও সমস্যা হত তাহলে তা মিটিয়ে নিতে হবে। ' এদিন বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করেই বিজেপি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন। 

এসএসসি দূর্ণীতি মমলায় এতদিন পরে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বিধোরী শুভেন্দু অধিকারীদের একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভা অধিবেশনে প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই প্রস্তাবের সমর্থনে বলতে ওঠেন মমতা। সেই সময়ই তিনি বলেন, 'এক লক্ষ চাকরি দেব- তাতে ১০০ টা ভুল হতেই পারে। তা আমাদের শুধরে নিতে হবে । আর সেই জন্য সময় দিতে হবে।' 

মমতা আরও বলেন, 'আমি চাকরি দেব। তাতে যদি কোনও সমস্যা হত তাহলে তা মিটিয়ে নিতে হবে। ' এদিন বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করেই বিজেপি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, 'যে দাদামণি চাকরি দিয়েছেন তার হিসেব কে নেবে?সিবিআই তাঁকে ধরবে না? মেদেনীপুর উত্তর দিনাজপুর হয়ে সব জায়গায় দাদামণি চাকরি দিয়েছেন। পুরুলিয়ায় চাকরি না দিয়ে বঞ্চিত করেছিলেন। সেই সব বঞ্চিতরা আমার কাছে এসেছিলেন- আমি চাকরি দিয়েছিলাম।'  

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপি চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তা তারা দেয়নি। অন্যদিকে এই রাজ্যে ৩৪ বছরের বাম জমানার অবশান ঘটিয়ে তিনি রাইটার্স দখল করলেও একজনেরও চাকরি খাননি।  এদিন বিধানসভা বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশ্যে বলেন ' ১৭ হাজার মানুষের চকরি চলে গেলে তাদের কি আপনাদের বাড়িতে পাঠব। কারও চাকরি চলে গেলেও তারা আপনাদের বাড়িতে গিয়ে ধর্না দেবে।' মুখ্যমন্ত্রী এই মন্তব্যে তীব্র অসন্তোষ জানিয়েছে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দ অধিকারী। তিনি বলেন তাঁকে উদ্দেশ্য করেই এই মন্তব্য করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে রাজ্যে অরাজকতা আরও বাড়বে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার ভেঙে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। 

স্কুল শিক্ষক নিয়োগে দূর্ণীর অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা চলছে। একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই তদন্তও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অনেককেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এতদিনের প্রাপ্ত বেতনও ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের এই অবস্থানে বিরোধীরা রাজ্য সরকারকেই নিশানা করেছে। উল্টোদিকে স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দূর্ণীতিতে রাজ্য সরকারও কিছুটা কোনঠাসা।