সংক্ষিপ্ত
মমতা বলেন, ' কেন্দ্রীয় সরকার তরুণ স্থায়ী চাকরি দিলে আলাদা কথা ছিল। কিন্তু অগ্নিপথ প্রকল্প আসলে চার বছরের ললিপপ।
কেন্দ্রীয় সরকারের চুক্তির ভিত্তিতে চার বছরের মেয়াদে সেনাতে নিয়োগ প্রকল্প অগ্নিপথ নিয়ে অবশেষে প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভা অধিবেষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'অগ্নিপথ আসলে বিজেপির ক্যাডার তৈরির প্রকল্প। এরাই আগামী দিনে ভোট লুঠ করতে সাহায্য করবে। বিজেপির পার্টি অফিস পাহারা দেবে। বিজেপি আসলে গুন্ডা তৈরি করার জন্য চার বছরের এই ললিপপ দিচ্ছে।'
সপ্তাহ খানেক আগেই কেন্দ্রীয় সরকার অগ্নিপথ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছে। জুলাই থেকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিক্ষোভ চলছে। অবরোধ বিক্ষোভের জেরে এখনও অগ্নিগর্ভ দেশের বহু এলাকা। রবিবার দিল্লি যন্তরমন্তরে অগ্নিপছের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ শুরু হয়েছে। যার নেতৃত্বে রয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেস। সনিয়া গান্ধী রাহুল গান্ধীসহ একাধিক কংগ্রেস নেতা অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে দিয়ে আন্দোলকারীদের সমর্থন জানিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেরও পরামর্শ দিয়েছেন। যাইহোক এবার অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় নামলেন মুখ্যমমন্ত্রী মমতা । তিনি রাজ্য বিধানসভায় দাঁড়িয়েই অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন।
মমতা বলেন, ' কেন্দ্রীয় সরকার তরুণ স্থায়ী চাকরি দিলে আলাদা কথা ছিল। কিন্তু অগ্নিপথ প্রকল্প আসলে চার বছরের ললিপপ।' মমতা বলেন চার বছর পর এদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রের অনুমোদন থাকবে। তারপর এরা কী করবে?' মমতার বক্তব্য এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিজেপি গুন্ডা তৈরি করতে চেয়েছে। তিনি আরও বলেন এই প্রকল্পের আসলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। নামমাত্র সেনা বাহিনীকে সামনে রাখা হয়। সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়। তিনি আরও বলেন চার বছর পরেই অগ্নিবীরদের চাকরি চলে যাবে। কিন্তু তিনি কারও চাকরি খেতে পারবেন না বলেও বিধানসভা অধিবেশনে মন্তব্য করেন। অন্যদিকে গতকালই কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছেন যারা প্রাক্তন অগ্নিবীরদের বিজেপির কার্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্ব দেওয়া হবে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম করা করেই কৈলাস বিজয়বর্গীয় মন্তব্যের উত্তর দেন বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।
যাইহোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে এই রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। বিধানসভায় বয়কট করেন বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের বক্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্যের মাধ্যমে দেশের সেনা বাহিনীকে অপমান করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীনই বিজেপি বিধায়করা বিধানসভার অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন। বাইরের লবিতে পোস্টার হাতে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন।