সংক্ষিপ্ত
বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই বড়জোড়ার তাজপুর গ্রামে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছিল। সোমবার স্থানীয় এক বিজেপি কর্মী পুকুর পাড়ে গরু বাঁধতে গেলে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের সাথে বচসা শুরু হয়।
গরু বাঁধাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়াতে। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন দুই পক্ষের ১০ জন। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। ঠিক কি ঘটেছিল তা জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় পুকুরের পাড়ে গরু বাঁধাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। আচমকাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাঁকুড়ার বড়জোড়া থানার তাজপুর গ্রাম। ওই গ্রামে সোমবার স্থানীয় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জখম হন দুপক্ষের প্রায় দশ জন। এর মধ্যে চারজনের আঘাত বেশ গুরুতর।
এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই বড়জোড়ার তাজপুর গ্রামে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছিল। সোমবার স্থানীয় এক বিজেপি কর্মী পুকুর পাড়ে গরু বাঁধতে গেলে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের সাথে বচসা শুরু হয়। বচসা থেকে প্রথমে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও পরে তা সংঘর্ষের চেহারা নেয়।
অভিযোগ দুপক্ষই হাতে লাঠি, রড, টাঙি নিয়ে অপর পক্ষের উপর আক্রমণ চালায়। এই সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের কমবেশি ১০ জন জখম হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চারজন আহতর আঘাত গুরুতর থাকায় তাঁদের বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনায় পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলা ও মারধরের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল ও বিজেপি।
এদিকে, পুরভোটের (Municipal Election) দামামা বেজে গিয়েছে। রাজ্যের চার পুরনিগমের (Municipal Corporation Election) ভোটের পরই বকেয়া পুরসভায় ভোট হবে। আর সেই কারণেই শাসকদল (TMC) থেকে শুরু করে বিরোধীরা এখন জোরকদমে প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। আসলে এই সময় প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চাইছেন না তাঁরা। বাঁকুড়া (Bankura) জেলাজুড়ে এখন ভোট নিয়ে রীতিমতো সাজোসাজো রব রয়েছে।
২২ জানুয়ারি রাজ্যের চারটি পুরনিগমে ভোট হবে। তার মধ্যে বিধাননগর, চন্দননগর, শিলিগুড়ি ও আসানসোলে পুরোভোট হবে। আর এগুলির ফলপ্রকাশ হবে ২৫ জানুয়ারি। কিন্তু, রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলিতে ভোটের দিন এখনও পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি। তবে ভোটের দিন ঘোষণা না হলেও প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখছে না কোনও রাজনৈতিক দলই। সংগঠনকে চাঙ্গা করার কাজে প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে সমান তালে। বিজেপি থেকে শুরু করে, তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামেরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে সবাই।