সংক্ষিপ্ত
- বাংলাদেশ যাওয়া হল না মমতার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর
- নিয়ম মেনে আবেদন করেও তাঁকে ভিসা দেয়নি বাংলাদেশ
- এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্য়ের গ্রন্থাগার মন্ত্রী
- কী কারণে ভিসার আবেদন বাতিল তা পরিষ্কার নয়
বাংলাদেশ যাওয়া হল না মমতার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর। নিয়ম মেনে আবেদন করেও তাঁকে ভিসা দেয়নি বাংলাদেশ হাইকমিশন। এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্য়ের গ্রন্থাগার মন্ত্রী। তবে কী কারণে তাঁর ভিসার আবেদন বাতিল করা হয়েছে, তা এখনও বাংলাদেশের তরফে জানানো হয়নি। বৃহস্পতিবার বিমানে বাংলাদেশ যাওয়ার কথা ছিল জমিয়াতে উলেমার নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরির।
এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ জমিয়ত উলেমা শাখা। ইতিমধ্য়েই এই ঘটনায় বিবৃতি প্রকাশ করেছে তারা। যেখানে বলা হয়েছে, স্ত্রী কন্যা ও দেড় বছরের নাতনিকে নিয়ে বাংলাদেশে যেতে চেয়েছিলেন সিদ্দিকুল্লা। সিলেটের একটি মাদ্রাসার শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এছাড়াও বাংলাদেশে মন্ত্রীর এক আত্মীয় মারা গেছেন। তার বাড়িতেও শোকজ্ঞাপন করতে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল মন্ত্রীর। কিন্তু বাংলাদেশ দূতাবাস সব আবেদন বাতিল করে দিয়েছে।
বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন কিছু না বললেও সূত্রের খবর, টেকনিক্যাল গ্রাউন্ড থেকেই তাকে ভিসা দিতে অস্বীকার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভিসা দেওয়ার বিষয়টি কলকাতার উপদূতাবাসের হাতে নেই। এই বিষয়টা ঠিক করে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক। সেখান থেকে অনুমতি না মেলায় ভিসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার তার বাংলাদেশ যাওয়ার কথা ছিল। এ ব্যাপারে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে বুধবার মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ সফর নিয়ে আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেরতরফ থেকে 'নো অবজেকশন সার্টিফিকেট' পেয়েছি। আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও বিষয়টি জানেন। আমার পাসপোর্ট প্রস্তুত ছিল এমনকী বাংলাদেশ বিমানের টিকিটও কেটে ফেলেছিলাম। কিন্তু একবারে শেষ মুহুর্তে আমার এই সফর বাতিল করতে হচ্ছে।
এই বলেই থেমে থাকেননি সিদ্দিকুল্লা। তিনি জানান সমস্ত নিয়মনীতি মেনেই অনলাইনে ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। সচিব প্রদীপ আগরওয়াল ডেপুটি হাইকমিশন অফিসে যোগাযোগ করে এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন। পরে আমার দফতরের এক কর্মকর্তা প্রবীর ঘোষ ভিসার জন্য পাসপোর্ট সহ অনলাইনে জমা দেওয়া ফর্ম নিয়ে মোট তিনবার ভিসা অফিসে যায়। কিন্তু তার পরেও কোনো সদুত্তর মেলেনি এবং ভিসাও দেওয়া হয়নি। তার অভিযোগ, আমাকে ভিসা না দিয়ে ভারত সরকার এবং রাজ্য সরকারকে অপমান করা হয়েছে। আমরা খুবই দুঃখিত।" ভিসা অস্বীকারের বিষয়টি তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে জানাবেন বলেও এদিন ফোনে বলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
জানা গেছে, সিলেট সংলগ্ন একটি মাদ্রাসার শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর। এছাড়া ব্যক্তিগত কিছু কাজও ছিল তার। আগামী ৩১ ডিসেম্বর কলকাতায় ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু ভিসা না পাওয়ায় এসব অনুষ্ঠানে বাতিল করতে হচ্ছে। মন্ত্রীর সাথে তার স্ত্রী রাজিয়া চৌধুরী, তার কন্যা, নাতনিরও বাংলাদেশ যাওয়ার কথা ছিল বলে জানা গেছে। জমিয়ত-উলামা-হিন্দ এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক এবং নজিরবিহীন বলে আখ্যায়িত করেছে।
এদিন মন্ত্রী আর্জি জানান,কেউ যেন বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার ও দূতাবাসের অন্য কর্মী কিংবা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার না করেন। তারা আমাদের দেশের অতিথি। দূতের সঙ্গে অসদাচরণ আমাদের সংস্কৃতির পরিপন্থী। ভালো ব্যবহার করাটা আমার রুচি।"