সংক্ষিপ্ত
মাস কয়েক আগে বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে মুখ খোলায় তসলিমার ফেসবুক আ্যাকাউন্টটি সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যা নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়।
জীবিত অবস্থাতেই ঝুলছে মৃতের নোটিশ। হ্যাঁ সম্প্রতি ফেসবুকের দেওয়ালে এমনটাই হয়েছে বিখ্যাত বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিনের (Taslima Nasrin) সঙ্গে। যা নিয়ে জোরদার চর্চা চলছে নেট পাড়ায়। এদিকে দিন যত যাচ্ছে বিতর্ক আর তসলিমা নাসরিন ক্রমেই যেন সমার্থক হয়ে যাচ্ছে। এমতবস্থায় এবার খোদ তসলিমার অ্যাকাউন্টটি রাতারাতি ‘স্মরণীয়’ করে দেওয়া হয়েছে ফেসবুকে তরফে। সহজ কথায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মৃত দেখিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে (Expatriate Bangladeshi writer Taslima Nasrin)। মঙ্গলবার বিকেলে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে (Verified Facebook account) প্রবেশ করলে দেখা যায়, তার অ্যাকাউন্টটি ‘রিমেম্বারিং’ করে দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ(Facebook authorities)। আজব কাণ্ড দেখে টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন লেখিকা। সেখানে তিনি লিখেছেন, “ আমি পুরোপুরি জীবিত। তোমরা (ফেসবুক) এটা কীভাবে করতে পারলে? অনুগ্রহ করে আমার অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দাও।” তাঁর এই পোস্ট নিয়ে বাড়তে থাকতে জল্পনার পাহাড়।
আরও পড়ুন- মমতা উত্তরপ্রদেশে গেলে আখেড়ে লাভ বিজেপির, কেন এমন বললেন শুভেন্দু অধিকারী
পাশাপাশি অন্য আরও একটি টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি লেলেন, “ফেসবুক আমাকে মেরে ফেলেছে। অথচ আমি জীবিত। আমি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হইনি বা বিছানাগতও হইনি। তবুও ফেসবুক আমার অ্যাকাউন্ট রিমেম্বারিং করে দিয়েছে।” এদিকে সাধারণত কেউ মারা গেলে অ্যাকাউন্টটি রিমেম্বারিং করে দেয় ফেসবুক। কেউ মারা গেলে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রিমেম্বারিং করতে হলে একটি ফরম পূরণ করে ফেসবুকের কাছে আবেদন করতে হয়। ওই আবেদন যাচাই করে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কিন্তু তসলিমা নাসরিনের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন লেখিকার ক্ষেত্রে কী করে এমনটা হল তা ভেবে পাচ্ছেন না কেউ।
যদিও কিছু সময় পরে নিজেদের ভুল সংশোধন করে ফেসবুক। এরপর দফায় দফায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকেও পোস্ট করতে থাকেন তসলিমা। সেখানে তসলিমা লেখেন, সেখানে রীতিমতো কটাক্ষবাণ শানিয়ে তিনি লেখেন, “জি-হা-দিদের প্ররোচনায় ফেসবুক আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল প্রায় একুশ ঘণ্টা আগে। এই একুশ ঘন্টায় আমি পরকালটা দেখে এসেছি। 'উনি' তো আমাকে হাত ধরে নিয়ে গেলেন, আমার জন্য বিশাল খানাপিনার আয়োজন করেছিলেন। খেয়ে দেয়ে বিশ্রামও নিলাম কিছুক্ষণ।”
এদিকে প্রায়শই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই ফেসবুক ও টুইটারে লেখালেখি করতে দেখা যায় বাংলাদেশের এই বিতর্কিত লেখিকাকে। যা নিয়ে প্রায়শই খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। মাস কয়েক আগে বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর অত্যাচার (persecution of Hindus in Bangladesh) নিয়ে মুখ খোলায় তসলিমার ফেসবুক আ্যাকাউন্টটি সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যা নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়। এবার নতুন ফেসবুক কাণ্ড নিয়ে ফেসবুকেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা।