সংক্ষিপ্ত
- লকডাউনের সময়ে নিয়ম ভেঙে বেরনোয় পুলিশ লাঠি চালিয়েছিল
- তাতে করে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল পুলিশের ভূমিকা নিয়ে
- বাচ্চার জন্য় দুধ আনতে গিয়ে পুলিশের লাঠিতে মারা যান এক যুবক
- তাই বাঁকুড়ার পুলিশ সম্পূর্ণ ভিন্নপথে মানুষকে সচেতন করতে নামলো
শুধুই লাঠি চালিয়ে যে কাজের কাজ কিছু হবে না, বরং তাতে হিতে বিপরীত হবে, তা বিলক্ষণ বুঝেছে বাঁকুড়ার পুলিশ। তাই রাস্তার মোড়ে মোড়ে প্রাণঘাতী করোণার ছবি এঁকে তাঁরা জনগণকে সতর্ক করতে শুরু করল। ছাতনা বাজারের রাস্তার দুদিকের দেওয়ালেও রয়েছে এমনই সব ছবি।
বাঁকুড়়া পুলিশের আঁকা এই ধরনের ছবি ইতিমধ্য়েই নজর কেড়েছে পথচারীদের। তাতে করে কিছুটা সাফল্য় মিলেছে বলেও দাবি করছে পুলিশ। আসলে লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যায়। লকডাউনের সময়ে নিয়ম ভেঙে বেরনোর জন্য় পুলিশ বেপরোয়া লাঠি চালায়। তাতে করে হাওড়ায় এক যুবকের মৃত্য়ু হয়। যদিও পুলিশ সে অভিযোগ উড়িয়ে দেয়। এই পরিস্থিতিতে জেলায় জেলায় পুলিশের লাঠিচার্জের ছবি ভাইরাল হয়। পুলিশের বেদম মারের ছবি দেখে শিউরে ওঠে সবাই। জরুরি প্রয়োজনে মানুষ বেরোবে, বাজার করতে বেরোবে, দুধ কিনতে বেরোবে, তাতে করে কোনও বাধা নেই যখন তখন পুলিশ কোনও কারণ জিজ্ঞেস না-করেই মারতে থাকে। এমনকি ইসিএলের কয়লশ্রমিকও পুলিশের লাঠির হাত থেকে রেহাই পাননি। এই পরিস্থিতিতে খোদ মুখ্য়মন্ত্রীও পুলিশের বাড়াবাড়ি নিয়ে সরব হন। আর তখনই পন্থা বলদায় পুলিশ। কোথাও পুলিশকে গান্ধিগিরি করতে দেখা যায়, কোথাও হাতজোড় করে বোঝাতে দেখা যায়।
এই পরিস্থিতিতে বাঁকুড়া পুলিশের এই উদ্য়োগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই। সিগারেটের প্য়াকেটে যেমন বিধিসম্মত সতর্কীরণ থাকে, এ-ও যেন অনেকটা তেমনই। পিচ রাস্তার ওপরে হোক কী রাস্তার ধারের দেওয়ালে, সর্বত্র এই সতর্কীকরণের ছবি আঁকা, করোনা ভাইরাসের ছবি দিয়ে। জরুরি প্রয়োজনে পথচলতি মানুষ যখনই রাস্তায় বেরোচ্ছেন, তখনই নজরে পড়ছে ছবিগুলি। তাতে করে অপ্রয়োজনে বেরনো লোকজন কিছুটা হলেও নাকি লজ্জিত।