সংক্ষিপ্ত

  • শুক্রবার কোজাগরী লক্ষী পুজোর
  • এবার পুজোর বাজার আগুন
  • ধন সম্পদের দেবীকে খুশি করতেই চলছে আয়োজন
  • এমন ছবি দেখা গেল মুর্শিদাবাদে

 

শুক্রবার ধনদেবী লক্ষী পুজো আর সেই কারণেই বাজার এখন আগুন। তবে লক্ষী কে সন্তুষ্ট করতে অগ্নিমূল্য বাজার উপেক্ষা করেই চলছে পুজোর কেনা কাটা। উৎসব প্রিয় হুজুকে বাঙালিদের লক্ষী পুজোর আগের দিন দেখা ভিড় করে বাজার করতে। ভিড় দেখা গেল বহরমপুরের স্বর্ণময়ী, নিমতলা, মধুপুর, রাধারঘাট বাজারের সাথে জঙ্গিপুর,কান্দি লালবাগের আস্তাবল মোড়ের মার্কেট চত্বরেও। মুর্শিদাবাদের সদর এলাকার পাশাপাশি একই ছবি ধরা পড়ল জিয়াগঞ্জ, লালগোলা, বেলডাঙ্গা,সালার, হরিহারপাড়া, দৌলতাবাদ এলাকাতেও। বহমপুরের রাধারঘাটের চন্দন রায়, স্বর্ণময়ীর অমিত মজুমদার, জঙ্গিপুরের সবিতা মজুমদার সকলেই প্রায় মুচকি হেসে একই সুরে বলল, ‘‘মা লক্ষ্মী বলে কথা৷ অন্তত বছরের এই একটা দিন তার উপাসনায় ত্রুটি হলে বছরের বাকী দিনগুলোতে আর রক্ষে থাকবে না৷ তাই একটা দিনের জন্য অযথা রিস্ক নিয়ে লাভ নেই।’’ 
সকলেই নিজের সাধ্য মত পুজোর আয়োজন করছেন। শুক্রাবার পুজো তাই তার আগের দিন শেষ মুহূর্তের খুঁটি-নাটি বাজার করছেন সকলেই। শুক্রবার ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মীদেবীর আরাধনায় খামতি এড়াতেই এই তোর জোর। মায়ের আরাধনায় ত্রুটি না রাখতে এই প্রস্তুতি, তবে বাজার আগুন হওয়ায় মন খুলে বাজার করতে সম্মত হলেন না অনেকেই। তার মধ্যে আরও এক বাধা হয়ে দাড়িয়েছে করোনা। তবুও সবাই নিজেদের সাধ্য মত মায়ের পুজোর ব্যবস্থা করছেন।

আরও পড়ুন: চাহিদা তুঙ্গে, পুঁজির অভাবে লক্ষ্মী প্রতিমার জোগান দিতে নাজেহাল শিল্পীরা

আরও পড়ুন: আরও পড়ুন: হাতে সব সময় থাকবে টাকা, লক্ষ্মী পুজোয় পালন করুন এই নিয়মগুলি

কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর মূল প্রসাদ চিপিটক তৈরির প্রধান জিনিস তালের ফোঁপরা, যার এখন দাম জোড়া ৮ থেকে ২০ টাকা। আবার এক পিস নারকেলের দাম ৫০ থেকে ৬০ যা কিনতে গিয়ে কাল ঘাম ছুটছে সকলের। ফল ও শাকসবজির দামও এই দিন বিক্রেতারা সুযোগ বুঝে হেঁকেছেন। ফলের মধ্যে, মর্তমান কলা ডজন প্রতি ৩০ টাকা থেকে ৫৫ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে, আপেল ৯০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা কেজি। পিয়াররাও দাম ৩০-৪০ প্রতি কেজি, নাশপাতি ৪০-৫০ টাকা। অন্যান্য ফলের দামও আর পাঁচটা দিনের চেয়ে অনেকটাই বেশি ছিল এই দিন।

 

ফুলের দামও নেহাত কম নয়। প্রমাণ সাইজের জোড়া গাঁদাফুলের মালা ১৫ থেকে ২৫ টাকা। ফুল বিক্রেতা, নিমাই হালদার জানিয়েছেন, এই সময় চাহিদাটা আর পাঁচটা দিনের চেয়ে একটু বেশিই থাকে আর তাই দাম অন্যান্য দিনের চেয়ে চড়া হয়। সবচেয়ে বেশি বৃহস্পতিবার দুপুরে দর হাঁকেন দশকর্মা ভাণ্ডারের বিক্রেতারা। সুযোগ বুঝে ছোট ফুলের মালাও পৌঁছায় ৬০-৮০ টাকা জোড়াতে। এক দোকানী বিশ্বজিৎ দাস বলেন,"এখন টানা পুজোর মরসুম চলছে এমনিতেই বাজার চড়ে থাকে,আর লক্ষ্মী পুজো বলে কথা একটু বাজার না উঠলে উপায় নেই"৷ সব মিলিয়ে এখন জোড় কদমে চলছে কোজাগরী লক্ষী পুজোর পুজোর প্রস্তুতি।