সংক্ষিপ্ত

  • নবদ্বীপ নিয়ে নতুন পরিকল্পনা রানাঘাটের সাংসদের
  • বেনারসের কায়দায় গঙ্গা আরতি শুরু করার পরিকল্পনা
  • জোর দিতে চান রেল যোগাযোগেও

দু' বছর বাদেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এ রাজ্যে নিজেদের জনসমর্থন আরও বাড়াতে ১৮ জন বিজেপি সাংসদকেই যে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দিল্লি থেকে কলকাতা ফিরেই তাই নিজের নিজের এলাকায় গিয়ে কাজে নেমে পড়ছেন সাংসদরা। তার মধ্যে কেউ কেউ দিচ্ছেন গুচ্ছ প্রতিশ্রুতিও। এই প্রতিশ্রুতিগুলি কতটা বাস্তবায়িত হয়, তা অবশ্য সময় বলবে। 

এ বার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন বিজেপি-র জগন্নাথ সরকার। নির্বাচনে জয়লাভ করার পরে এ দিনই স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব তাঁকে সংবর্ধনা দেয়। সেই অনু্ষ্ঠানে এসেই জনপ্রিয় তীর্থস্থান এবং পর্যটন কেন্দ্র নবদ্বীপ ধামকে নিয়ে বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা শুনিয়েছেন নতুন সাংসদ। তার মধ্যে অন্যতম হল বেনারসের কায়দায় নবদ্বীপেও গঙ্গার পাড়ে সন্ধ্যারতি চালু করা। 

জগন্নাথবাবু বলেন, "নবদ্বীপ এবং মায়াপুরের খ্যাতি গোটা বিশ্বে রয়েছে। তাই এখানে গঙ্গার পাড় বাঁধিয়ে বেনারসের মতোই সন্ধ্যারতির ব্যবস্থা হওয়া উচিত। এছাড়াও নবদ্বীপ, শান্তিপুরের পৌরাণিক ইতিহাস সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে তুলে ধরা গেলে আরও বেশি সংখ্যক পর্যটক এখানে আসবেন। এর ফলে আর্থিক দিক দিয়েও গোটা জেলার মানুষ উপকৃত হবেন।"

শুধু তাই নয়, নবদ্বীপের সঙ্গে কলকাতার রেল যোগাযোগ উন্নত করার লক্ষ্যে শিয়ালদহ এবং হাওড়া থেকে সরাসরি ট্রেন চালানোর বিষয়েও তিনি উদ্যোগী হবেন বলে দাবি করেছেন নতুন সাংসদ। ট্রেনের সংখ্যাও যাতে বাড়ে, সেই চেষ্টাও তিনি করবেন বলে জানিয়েছেন নতুন সাংসদ। তবে রেল যোগাযোগ উন্নত করার পাশাপাশি তিনি রেল লাইনের পাশে যে জবরদখলকারীরা রয়েছেন, তাঁদের সরাতেও উদ্যোগী হবেন বলে দাবি করেছেন জগন্নাথবাবু। এর জন্য গোটা জেলার মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। 

এ দিন সকালে বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে নবদ্বীপের স্থানীয় রামসীতা মন্দির এবং পোড়ামা মন্দিরে পুজো দেন নতুন সাংসদ। তবে শুধু নবদ্বীপ বা মায়াপুর নয়, নদিয়া জেলায় কৃষ্ণনগর, ফুলিয়া, কৃষ্ণগঞ্জের মতো যে জায়গাগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে, সেখানে যাতে আরও বেশি সংখ্যায় পর্যটক আসেন, সেই উদ্যোগ তিনি নেবেন বলে দাবি করেন জগন্নাথবাবু।