সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার ১ এপ্রিল কলকাতার পিএসসি অফিসে পিএসসি চেয়ারম্যানের হাতে বাংলা পক্ষের তরফে স্মারকলিপি জমা করে বাংলার প্রতিটি রাজ্য সরকারি চাকরিতে বাধ্যতামূলক ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়ার দাবি করা হয়। ডবলুবিসিএস মেইনস যাতে শুধুমাত্র ইংরেজিতে না হয়ে, বাংলাতেও হয় সেই দাবি জানানো হয়।
শুক্রবার ১ এপ্রিল কলকাতার পিএসসি অফিসে পিএসসি চেয়ারম্যানের হাতে বাংলা পক্ষের তরফে স্মারকলিপি জমা করে বাংলার প্রতিটি রাজ্য সরকারি চাকরিতে বাধ্যতামূলক ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়ার দাবি করা হয়। ডবলুবিসিএস মেইনস যাতে শুধুমাত্র ইংরেজিতে না হয়ে, বাংলাতেও হয় সেই দাবি জানানো হয়। বাংলাপক্ষের তরফে পিএসসি-র চেয়ারম্যানকে এদিন লম্বা চিঠিতে রাজ্যের সঙ্গে ভিন রাজ্যের উদাহরণ টানেন সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'ডবলুবিসিএস বা ডবলুবিপিএস এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলিতেও বাংলা ভাষার পেপার বাধ্যতামূলক নয়। অথচ ভারতের সকল রাজ্য়ের পিএসসি-র পরীক্ষায় সেই রাজ্যের মূল ভাষা বাধ্যমূলক।'
বাংলাপক্ষের তরফে পিএসসি-র চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়েছে লম্বা চিঠি। ওই চিঠিতে বাংলাপক্ষের তরফে সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন , 'বাংলার রাজ্য সরকারি পরীক্ষার একটা বড় অংশের দায়িত্বে ডবলুবিপিএসসি। এই রাজ্য বাংলা ভাষার ভিত্তিতে তৈরি এক রাজ্য। ২০১১ সালের গণনা অনুযায়ী এই রাজ্যের ৮৬ শতাংশ মানুষ বাঙালি।' এই যুক্তি দেওয়ার পরেই বাংলাপক্ষ পিএসসি-র চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলে,'ডবলুবিপিএসসি চাকরির পরীক্ষা গুলোয় কোনও বাধ্যতামূলক বাংলা ভাষার পেপার নেই। কেউ হিন্দি, কেউ উর্দু কিংবা ইংরেজিতে পরীক্ষা দিয়েই বাংলার সরকারি চাকরি পেতে পারে।' এরপরই উদাহরণ টেনে বলেন, 'ডবলুবিসিএস বা ডবলুবিপিএস এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলিতেও বাংলা ভাষার পেপার বাধ্যতামূলক নয়। অথচ ভারতের সকল রাজ্য়ের পিএসসি-র পরীক্ষায় সেই রাজ্যের মূল ভাষা বাধ্যমূলক। উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় যে, বিহারের পিএসসি-তে ১০০ নাম্বরের হিন্দি, গুজরাটে ১৫০ নাম্বারের গুজরাটি, মহারাষ্ট্রে ১০০ নাম্বারের মারাঠি পেপার বাধ্যতা মূলক।'
এর আগে সকাল ১০.৩০ থেকে পিএসসি ভবনের সামনে বাংলা পক্ষের তরফে এই দাবিকে সামনে রেখে অবস্থান করা হয়। বাংলা পক্ষের বিভিন্ন জেলার সহযোদ্ধারা এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। বাংলা পক্ষের তরফে একটি প্রতিনিধি দল মাননীয়া চেয়ারম্যান পিয়ালী সেনগুপ্ত মহাশয়ার সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি তুলে দেন।
এই প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষে সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদের সদস্য কৌশিক মাইতি এবং শীর্ষ পরিষদ সদস্য মন্ডল মন্ডল।পিএসসি চেয়ারম্যানের তরফে জানানো হয়েছে এই দাবি তিনি সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেবেন, মূখ্য সচিবকে পাঠানো। বাংলা পক্ষের তরফে জানানো হয়েছে যতদিন না পর্যন্ত ১০০ নম্বরের বাংলা ভাষার পরীক্ষা রাজ্য সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক হয় ততদিন এই আন্দোলন চলবে এবং আগামী দিনের আন্দোলন আরো জোরদার হবে। দরকারে সংগঠনের তরফে নবান্ন অভিযান হবে, কারণ আইন বানায় সরকার। পিএসসি সেটা বলবৎ করে।