সংক্ষিপ্ত
- জলঙ্গীতে তিনজন ভারতীর মৎস্যজীবীকে আটক করে বিজিবি
- পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন তাঁরা
- বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের উদ্ধার করতে বিএসএফ জওয়ানরা
- ভারতীয় জওয়ানকে লক্ষ্য করে বিজিবি জওয়ানরা গুলি চালান বলে অভিযোগ
কখনও ওদেশের মৎস্যজীবীরা জলপথে এদেশে ঢুকে পড়েন, তো কখনও আবার উল্টো ঘটনাও ঘটে। মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সমস্যা নতুন নয়। সেই সমস্যা মেটাতে গিয়েই মুর্শিদাবাদে শহিদ হলেন বিএসএফ-এর এক মেজর। জখম আরও এক বিএসএফ জওয়ান। অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায় বিএসএফ জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছেন বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ বা বিজিবি জওয়ানরা।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয় মুর্শিদাবাদের জলঙ্গীর চর কাকমারী এলাকা পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন কয়েকজন ভারতীর মৎস্যজীবী। নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলবশত তাঁরা ভারত-বাংলাদেশ জলসীমার জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি চলে যান। অভিযোগ, সতর্ক না করেই এদেশের তিনজন মৎস্যজীবীকে আটক করে বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ বা বিজিবি। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের উদ্ধার করতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের দিকে যান বিএসএফের ১১৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা। অভিযোগ, ভারতীয় জওয়ানরা কাছাকাছি যেতেই হঠাৎ করে গুলি চালাতে শুরু করেন বিজিবি-এর জওয়ানরা। পাল্টা গুলি চালান বিএসএফ জওয়ানরাও। গুলিবিদ্ধ হন ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১১৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের হেড কনস্টেবল বিজয় ভান। মাথায় গুলি লাগে তাঁর, ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই বিএসএফ জওয়ান। গুরুতর জখম হন আরও এক জওয়ান। ভেস্তে যায় ফ্ল্যাগ মিটিং।
https://twitter.com/ANI/status/1184804233121394689
শেষ খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দু'জন মৎস্য়জীবীকে বাংলাদেশ থেকে উদ্ধার করে আনতে পেরেছেন বিএসএফ জওয়ান। একজন এখনও বিজিবি-এর হেফাজতেই রয়েছেন। এদিকে বিনা প্ররোচনায় এভাবে গুলি চালানোর তীব্র নিন্দা করেছে বিএসএফ। বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তাও আরও জোরদার করা হয়েছে।