সংক্ষিপ্ত
শুক্রবারই রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে আসছে সেন্ট্রাল ফরেনসিক টিম। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে এদিনই নয়া দিল্লি থেকে আসছে সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরোটরির টিম।
শুক্রবারই রামপুরহাটের (Rampurhat Incident) বগটুই গ্রামে আসছে সেন্ট্রাল ফরেনসিক টিম (Central Team)। ইতিমধ্য়েই রামপুরহাটকাণ্ডে রাজ্যের সিট-কে তদন্ত থেকে সরানো হয়েছে। রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা না পেয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্ট। এদিকে রামপুরহাটের ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে এদিনই নয়া দিল্লি থেকে আসছে সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরোটরির টিম।
মূলত রামপুরহাট হিংসাকাণ্ডে জটিলতা কিছুই কাটেনি। এখনও অবধি যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, রাজ্য় পুলিশের সেই তদন্তের উপর আগেই ভরসা করেনি বিরোধী দল তথা সিটের উপর ভরসা করেনি হাইকোর্টে মামলাকারীর দল। ইতিমধ্য়েই রামপুরহাটকাণ্ডে রাজ্যের সিট-কে তদন্ত থেকে সরানো হয়েছে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে শুক্রবার সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরোটরির টিমের সঙ্গে সিটের আধিকারিকদের যাওয়ার কথা ছিল। তবে এবার তদন্তের স্বার্থে সিট-র যেকোনও পদক্ষেপেই যবনিকা টেনেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবারই ঘটনাস্থলকে সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলার নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের প্রধানবিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি, সেন্ট্রাল ফরেন্সিক টিম ঘটনাস্থলে এসে নমুনা সংগ্রহ করবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ মতোই এদিন ঘটনাস্থলে আসছে সেন্ট্রাল টিম। এই রিপোর্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন, রামপুরহাটকাণ্ডে আর কাজ করবে না 'সিট', সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, নিহত তৃণমূল নেতা বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ছিলেন নাম ভাদু শেখ। সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বগটুই মোড়ে দাঁড়িয়ে ফোন করছিলেন তিনি। সে সময় দুটি মোটর বাইকে চার দুষ্কৃতী তাকে লক্ষ্য করে পর পর কয়েকটি বোমা ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। জনবহুল এলাকায় বোমাবাজির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে অন্যান্যরা ছুটে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে উপ প্রধানকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পরেই বগটুই গ্রাম জুড়ে শুরু হয় বোমাবাজি। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একাধিক বাড়িতে বলে অভিযোগ। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আট জনের। ইতিমধ্য়েই এই ঘটনায় ১২ জনের উপরে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতার নির্দেশে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের আনারুল হোসেনকেও। যদিও তাতে চিড়ে ভেজেনি। রাজ্য পুলিশে আদৌ ভরসা পায়নি মামলকারীদের মতোই আদলত। তাই শেষ অবধি তদন্তের দায়ভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।