সংক্ষিপ্ত

কংগ্রেস কাউন্সিলার খুনের প্রতিবাদে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে পোস্টার পড়ল গোটা ঝালদা শহরে। তদন্ত থেকে আইসিকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও এখনও চেয়ারে কেন প্রশ্ন তুলেছেন তপন কান্দুর স্ত্রী থেকে এলাকাবাসী।  

কংগ্রেস কাউন্সিলার খুনের প্রতিবাদে (Purulia Jhalda Councillor Murder Case ) সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানিয়ে পোস্টার পড়ল গোটা ঝালদা শহরে। তদন্ত থেকে আইসিকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও এখনও চেয়ারে কেন প্রশ্ন তুলেছেন তপন কান্দুর (Tapan Kandu's Wife) স্ত্রী থেকে এলাকাবাসী। তবে শেষ অবধি ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলার খুনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সিলমোহর পড়বে কিনা, এখনও কিছু জানা যায়নি।

ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলার খুন হওয়ার পর পার হয়ে গেছে ১৩দিন। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর তপন কান্দুর ভাইপো তথা ঝালদা শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি  দীপক কান্দু গ্রেপ্তার হলেও এখনও এই ঘটনার মূল খুনি অধরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ শুনে পুলিশ সন্দেহ ভাজন খুনির স্কেচ প্রকাশ করলেও এখনও তাঁর টিকিও ছুঁতে পারেনি পুলিশ।তপন কান্দুর হত্যার তদন্তভার সিআইডি-কে দেওয়া হয়েছে। গঠিত হয়েছে সিট। এরই মাঝে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে ঝালদা শহর জুড়ে পড়েছে পোস্টার।পোস্টারে লেখা,'জাস্টিস ফর তপন কান্দু, সিবিআই তদন্ত চাই।' পোস্টার প্রসঙ্গে ঝালদা শহরবাসী জানান, পোস্টার দিয়ে ঠিকই হয়েছে। যে পোস্টার দিয়েছে হয়তো নিজের আগ্রহে দিয়েছে।পোস্টারের দাবি ন্যায্য।ঘটনার এতদিন পরেও সিবিআই তদন্ত হল না কেন বলে প্রশ্ন উঠেছে।

আরও পড়ুন, কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে ঝালদার আইসি-কে অব্যাহতি, একের পর এক অভিযোগ আসতেই সিদ্ধান্ত প্রশাসনের

আরও পড়ুন, 'আনারুল ভাল মানুষ, ফাঁসাচ্ছে অনুব্রত', মমতার নির্দেশের পর রাগে ফুঁসছে অনুগামীরা

 তপন কান্দুর হত্যা কাণ্ডে সিট গঠন,সিআইডির তদন্ত বা একজন গ্রেফতারে এখনও খুশি নন তপন কান্দুর পরিবার। এদিকে কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় ঝালদায় আইসি সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। তারপরেই পদে থাকলেও ঝালদা থানার কাজ থেকে আপাতত আইসি সঞ্জীব ঘোষকে অব্যহতি দেওয়া হয়। যদিও তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু ভাইপো মিঠুন কান্দুরা একটাই কথা বলে আসছেন। 'ঝালদার ঘটনায় ঝালদা থানার আইসিকে তদন্ত থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও আইসি তো এখনো নিজের চেয়ারেই রয়েছেন। তাঁকে এখনও সাসপেন্ড করা হল না কেন', বলে প্রশ্ন তুলেছেন।

আরও পড়ুন, 'ল্যাংচা খাওয়াটা কি অপরাধ', কুণাল-মমতার তোপের পর বিজেপির 'ল্যাংচা-ব্রেক' নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ

প্রসঙ্গত, নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমাদেবীর অভিযোগ, রাজ্যের পুরভোটের পর তপন কান্দুকে থানায় ডেকে পাঠিয়েছিলেন  ঝালদা থানার আইসি। সেখানেতৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য তপন কান্দুকে চাপ দিচ্ছিলেন খোদ আইসি। এমনকি কথা না শুনলে অপহরণ করে গুম করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন পূর্ণিমাদেবী। এমনকি তার থেকেও খারাপ কিছু হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় তপন কান্দুর স্ত্রী তথা ঝালদা পৌরসভার ১২ নাম্বার ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলার পূর্ণিমা কান্দু।