সংক্ষিপ্ত

 তালিকায় দুই নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি উদবাস্তু সেলের কো কনভেনার প্রদীপ চৌধুরী এবার প্রার্থী হবে বলে দল জানিয়েছিল। কিন্তু প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর দেখা গেল অন্য ছবি।

টিকিট না পেয়ে জেলা নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ ক্ষুব্ধ বিজেপি (BJP) কর্মীর। ২২ জানুয়ারী  ২০২২, শিলিগুড়ি পুরনিগমের নির্বাচন (Siliguri Municipal corporation) হবে বলে ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।  বামফ্রন্ট ও তৃণমূল কংগ্রেস এখনও তাদের পূর্নাঙ্গ ভোটের তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি। বুধবার রাত সাড়ে সাতটায় পূর্নাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি। কিন্তু তাতেও দেখা দিয়েছে হাজারো সমস্যা। প্রার্থী না করায় দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপির বিক্ষুদ্ধ নেতা ও কর্মীরা। ইতিমধ্যেই তারা জেলা নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানাতেও শুরু করেছেন। 

 তালিকায় দুই নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি উদবাস্তু সেলের কো কনভেনার প্রদীপ চৌধুরী এবার প্রার্থী হবে বলে দল জানিয়েছিল। কিন্তু প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর দেখা গেল অন্য ছবি।  প্রদীপ চৌধুরীর নাম না থাকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। প্রদীপ বাবু অভিযোগ করেন ২০১১সাল থেকে তিনি বিজেপি করে আসছেন। ২০১৫ সালে দলকে এই ওয়ার্ড থেকে জিতিয়ে ছিলেন তিনি। এবার তার এই ওয়ার্ড থেকে দাড়ানোর কথা ছিল কিন্তু তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। কী কারনে তার নাম বাদ গেল তা তিনি জানেন না। প্রদীপ চৌধুরী অভিযোগ করেন  জেলা নেতৃত্ব টাকা নিয়ে প্রার্থী পদ দিয়েছে। 

এছাড়াও তিনি বলেন দুই নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী করেছেন বানী পালকে।  কিন্তু  তিনি ওয়ার্ডের কোন বাসিন্দাকে চেনেন না। এমন কি তার ব্যাবহারও ভালো না। তিনি কার্যত জেলা নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন  তিনি।  দুই নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি যাতে জিততে না পারে তার জন্য তিনি সমস্ত রকম ব্যাবস্থা করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কিন্তু বিজেপিতে থেকেই দলের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন তিনি। যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে দলের একাংশ। শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি আনন্দময় বর্মন বলেন প্রদীপ চৌধুরীর সমস্ত অভিযোগ সমস্ত মিথ্যা। টাকা নিয়ে কোন প্রার্থী করা হয় নি। এই ওয়ার্ডে বিজেপি জিতবে বলেও আশাবাদী তিনি। 


সোমবার  রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২২ জানুয়ারি রাজ্যের চার পুরসভায় ভোট গ্রহণ করা হবে।  কিন্তু ওই দিন হাওড়া পুরনিগম (Howrah Municipal Corporation Vote) ভোট গ্রহণ করা হবে না।  রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রথমে রাজ্য সরকার বলেছিল পাঁচটি পুরসভায় ভোট গ্রহণ করা হবে। তারা সেইমত রাজি হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার হাওড়া নিয়ে কিছু জানায়নি। তাই হাওড়ার পুরসভা নির্বাচন নিয়ে তারা কিছুই বলতে পারবে না। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে হাওড়া নিয়ে কিছু জানান হয়নি। যদি কালকের মধ্যে কিছু জানান হয় তাহলে তারা কালও হাওড়ার পুরসভা নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। কিন্তু নিজেদের উদ্যোগে তারা হাওড়া নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। তা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনের পরিপন্থী হবে বলেও জানিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস।  

পাঁচের বদলে চার কেন, পুরসভা নির্বাচন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের

আসাদউদ্দিন ওয়াসির সঙ্গে মমতার তুলনা, 'সাম্প্রদায়িক রাজনীতির' অভিযোগ বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদারের