সংক্ষিপ্ত
- ফের জয় শ্রীরাম বলায় বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ
- এবারও মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে
- ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া ব্লকের লেবুতলা গ্রামে
- ঘটনার জেরে ফের রাজনৈতিক ঘংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী
ফের জয় শ্রীরাম বলায় বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এবার ঘটনাটি ঘটেছে,বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া ব্লকের লেবুতলা গ্রামে। ঘটনার জেরে ফের রাজনৈতিক ঘংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
থামছে না রাজনৈতিক সংঘাত। রাজ্যে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিলেই হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে বিজেপিকে। রাজনৈতিক মিছিল বাদে গেরুয়া ব্রিগেডের কর্মীদের একা পেলেই নেওয়া হচ্ছে প্রতিশোধ। এমনই অভিযোগ করছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। শনিবার সেরকমই আরও এক ঘটনার সাক্ষী থাকল বসিরহাট। এলাকাবাসীরা জানান, শনিবার বিকেলে কেন্দুয়া বাজার থেকে মাছ কিনে ফিরছিলেন গোপালপুরের বাসিন্দা বছর ৪০-এর রঞ্জিত মন্ডল। লেবুতলা গ্রামে যেতেই বাচ্চারা তাঁকে জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিতে আবদার করে। বাচ্চাদের আবদার রাখাই কাল হয় রঞ্জিতের। অভিযোগ, তিনি জয় শ্রীরাম দিতেই তৃণমূল কর্মী তারক পারুই তাঁকে গালিগালাজ শুরু করেন। পরে বচসা হাতাহাতি পর্য়ন্ত গড়ায়।
রঞ্জিতের অভিযোগ,কিছু বুঝে ওঠার আগেই জয় শ্রীরাম বলার জন্য তাঁর দিকে ধেয়ে আসে তৃণমূল কর্মীরা। পরে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। এমনকী কেন জয় শ্রীরাম বলা হচ্ছে জানতে চেয়ে রঞ্জিতকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন তৃণমূলের লোকজন। কিল,ঘুষি সঙ্গে লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয় রঞ্জিতকে। পরে চিৎকার শুনে গ্রামের মানুষ এসে উদ্ধার করেন রঞ্জিতকে। বেগতিক দেখে অভিযুক্ত তারক পারুই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। গ্রামবাসীরাই রঞ্জিত মণ্ডলকে উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। তাঁরাই জানান, অভিযুক্ত তারক পারুই এলাকার বিশিষ্ট তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও বিজেপি করার জন্য হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল রঞ্জিত মণ্ডলকে। ঘটনার পর তারক পারুইয়ের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ।