সংক্ষিপ্ত
২০২০ সালে ৬ই জানুয়ারি বিকেল বেলা নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে ঝালদা শহরে বিজেপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে এই কালা দিবস পালন বলে জানান বিজেপি নেতৃত্ব। তবে কোভিড পরিস্থিতি না থাকলে এদিনের কর্মসূচিতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ৫০ হাজার লোকের জমায়েত হত বলে মত বিজেপি নেতা শঙ্কর মাহাতোর।
পুরুলিয়ার ঝালদায় হাটতলায়(Jhalda Hattala of Purulia) কালা দিবস(BJP's Black Day) পালন করল বিজেপি। ২০২০ সালে ৬ই জানুয়ারি বিকেল বেলা নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে(support of the Citizenship Act) ঝালদা শহরে বিজেপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে এই কালা দিবস পালন বলে জানান বিজেপি নেতৃত্ব। এবিষয়ে বিজেপির পুরুলিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক(BJP’s general secretary of Purulia district) শঙ্কর মাহাতো জানান, “আজকের দিনে ২০২০ সালের ৬ই জানুয়ারী সিএএ-এর(CAA) সমর্থনে শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ ব্যাপক লাঠি চার্জ করে। বিজেপি কর্মীদের অযথা হয়রানির শিকার হতে হয়েছিল। কারণ ছাড়াই কেস দেওয়া হয়েছিল তাদের। জেলেও পাঠানো হয়েছিল। সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত পুলিশি সন্ত্রাসের(Police terror) প্রতিবাদে বিজেপি কালাদিবস ও প্রতিবাদ সভা করে আসছে।”
কোভিড পরিস্থিতি(Covid situation) না থাকলে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের(State and central leadership of BJP) উপস্থিতিতে ৫০ হাজার লোকের জমায়েত হত বলে মত বিজেপি নেতা শঙ্কর মাহাতোর। তবে ঝালদা হাট তলায় এদিনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সর্বত ভাবেই করোনা বিধির যথাযথ পালন করা হয় বলে তিনি জানান। আজকের কালা দিবস কর্মসূচি পালনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রুহিদাস মাহাতো,ঝালদা ব্লক মন্ডল সভাপতি জুড়েন মাহাতো ঝালদা শহর মন্ডল সভাপতি মৃণালকান্তি মুখার্জী সহ আরও অনেকে। এদিকে কলকাতায় পুরভোটের পালা সাঙ্গ হতেই রাজ্যের অন্যান্য পুরনিগম গুলিতেও বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। নির্বাচনী উত্তাপ বাড়ছে পুরুলিয়াতেও।
আরও পড়ুন-স্বামী-স্ত্রী একযোগে মদ্যপান করে হৈ-হুল্লোড়, নেশার ঘোরে স্ত্রীকে লাঠি পেটা করে খুন স্বামীর
তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে পুরুলিয়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে আগের থেকে অনেকটাই ক্ষমতা বেড়েছে কংগ্রেসের। জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতোর হাত ধরেই কংগ্রেসের এই উত্থান বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আসন্ন ভোটে খাতায় কলমে না হলেও বামেদের সঙ্গে অলিখিত জোট হতে চলেছে কংগ্রেসের। এদিকে এই এলাকায় এখনও বেশ খানিকটা শক্ত জমি রয়েছে সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লকের মতো দলগুলির। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে বামেদের লড়াই হলে তাতে যে আখেড়ে ক্ষতি হবে বিজেপির তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে শাসক দল তৃণমূলেরও। আসন্ন পুরসভায় জয় ছিনিয়ে আনতে মরিয়া ঘাসফুল শিবিরও। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এবারে হাত বনাম ঘাসফুল লড়াই হতে চলেছে পুরুলিয়ায়। অন্যদিকে কংগ্রেস ভোটে অনুঘটকের কাজ করবে বাম ভোট। সেক্ষেত্রে বিজেপি চলে যেতে পারে তিন নম্বরে। এমতাবস্থায় বিজেপির প্রতিবাদ কর্মীসূচিকে ঘিরে নতুন হিন্দোল তৈরি হয়েছে পুরুলিয়ার রাজনৈতিক মহলে।