সংক্ষিপ্ত
রানাঘাটে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই চলছিল জোর নাটক। নাটকের কেন্দ্রে আগাগোড়াই ছিল মতুয়া ভোট দখল। প্রথম তাস ফেলেছিল তৃণমূল। পূর্বাভাস ছাড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে নিহত বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রী আনকোরা মুখ রূপালী বিশ্বাসকে দাঁড় করান। বিজেপি খুঁজছিল পালটা দেওয়ার মতো যোগ্যতম একটি মুখ। এই মুকুটমণি অধিকারিকে প্রার্থী করা।
শিবঠাকুরের আপন দেশে আইনকানুন সর্বনেশে।
এমনটাই বলছেন চিকিৎসক শুভঙ্কর বিশ্বাস। চিকিৎসকের পরিচয়টা অবশ্য এখন মুছে ফেলতে মরিয়া শুভঙ্করবাবু। কারণ তিনি ভোটে দাঁড়াতে চান। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান চোখে চোখ রেখে। কারণ প্রতিপক্ষ মুকুটমণি অধিকারীও যে আসলে চিকিৎসকই। তবে বিধি বাম। মুকুটমণি বিজেপির হয়ে জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়লেও, স্বাস্থ্য দফতর ইস্তফাই গ্রহণ করছে না সাম্ভব্য বিএসপি প্রতিনিধি শুভঙ্কর বিশ্বাসের। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি পাঁচ বছর না হতে ইস্তফা গ্রহণ করা যাবে না।
এত জায়গা থাকতে শুভঙ্করের তথা বিএসপি-র রানাঘাটই পছন্দ কেন? রাজনৈতিক গবেষকরা বলছেন, রানাঘাট দলিত অধ্যুষিত এলাকা। কমপক্ষে ৩০ শতাংশ দলিত ভোট রয়েছে জেনেই এই কেন্দ্রকে পাখির চোখ করছে যুযুধান শিবিরগুলি। এমনকী বাদ যায়নি শূন্য হাতে ফিরে চলা এই বিএসপিও।
রানাঘাটে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই চলছিল জোর নাটক। নাটকের কেন্দ্রে আগাগোড়াই ছিল মতুয়া ভোট দখল। প্রথম তাস ফেলেছিল তৃণমূল। পূর্বাভাস ছাড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে নিহত বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রী আনকোরা মুখ রূপালী বিশ্বাসকে দাঁড় করান। বিজেপি খুঁজছিল পালটা দেওয়ার মতো যোগ্যতম একটি মুখ। এই মুকুটমণি অধিকারিকে প্রার্থী করা। মুকুটমণির পরিবার ঠাকুরনগরের খাস লোক। তাঁর বাবা ভূপাল অধিকারী ভারত মতুয়া মহাসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি। কাজেই বিজেপি এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চেয়ছে।
কিন্তু রানাঘাটে শেষমেশ ভাগ্যের শিঁকে ছিড়বে কার? তথ্য বলছে রানাঘাট এই লোকসভা ভোটের সবচেয়ে ব্যতিক্রমী কেন্দ্র। কেননা এই কেন্দ্রে একটা বড় ফ্যক্টর সিপিআইএম। গত লোকসভা ভোটে প্রবল খারাপ সময়েও এই কেন্দ্রে সিপিএম ২৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। কাজেই এখানে দাগ কাটতে হলে সিপিএম-এর ভোট ভাঙাতে হবে বিজেপিকে। এদিকে সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের এফআইআর-এ মুকুল রায়ের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় একটু ব্যকফুটে চলে গিয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিততে দাঁড়িয়ে মরিয়া লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সিপিআইএম প্রার্থী রমা ঘোষও। সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ছেন নির্বাচনী প্রচারে। কথা বলছেন স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে। সমীক্ষকদের মতে, প্রচারে কাজ হলে দ্বিতীয় স্থানেও শেষ করতে পারেন এই সিপিআইএম প্রার্থী। এই অবস্থায় বিএসপি একজন প্রার্থী দিলে খেলা আরও জমত। বিএসপি সূত্রের খবর, শুভঙ্কর বিশ্বাস প্রতিনিধি না হতে পারলে বিকল্প হিসেবে ভাবা হচ্ছে দলীয় কর্মী গৌতম রায়ের নাম।
১১ এপ্র্রিল থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। রানাঘাটে ভোট আয়োজিত হবে চতুর্থ দফায় অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল। নরেন্দ্র মোদীর সফর, মুকুল রায় ব্রিগে়ডের সর্বাত্মক প্রচারে কতটা অক্সিজেন সংগ্রহ করে বিজেপি। ব্যলট বাক্স সহায়!