সংক্ষিপ্ত

  • তৃণমূল বিধায়ক খুনের মামলায় স্বস্তি 
  • বিজেপি সাংসদের গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
  • ২০১৮ সালে খুন হন বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস
  • ঘটনায় নাম জড়িয়েছে রাণাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারের

তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলায় এবার স্বস্তি পেলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারও।  তাঁর গ্রেফতারিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২৮ ফ্রেরুয়ারি পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না সাংসদকে।  তবে নির্দিষ্ট দিনে তাঁকে সিআইডি আধিকারিকদের জেরার মুখোমুখি হতে হবে। তেমনই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

২০১৮ সালে ৯ ফ্রেরুয়ারি। সরস্বতী পুজোর আগের দিন নিজের পাড়াতেই একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। অনুষ্ঠান মঞ্চে খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যান বিধায়ক। তোলপাড় শুরু হয় রাজ্যে।  বিধায়ক হিসেবে একজন নিরাপত্তারক্ষী পেতেন সত্যজিৎ বিশ্বাস। কিন্তু ঘটনার দিন নিরাপত্তারক্ষী ছুটিতে ছিলেন বলে জানা যায়।তদন্তে নেমে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এফআইআর  করা হয় রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও দলের নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধেও।  শেষপর্যন্ত অবশ্য প্রমাণের অভাবে দু'জনকে বেকসুর খালাস দেওয়ার জন্য আদালতের আবেদন জানান তদন্তকারীরাই। চার্জশিট পেশ করা হয় বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে।  মামলা থেকে অব্যাহতি পান মুকুল রায় ও জগন্নাথ সরকার।

আরও পড়ুন: চাকরি দেওয়ার নামে মিথ্য়ে প্রতিশ্রুতি, প্রতারণায় নাম জুড়ল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর

এদিকে বিধায়ক খুনের মামলা থেকে মুকুল রায় ও জগন্নাথ সরকারকে  অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন এক আইনজীবী।  তাঁদের বিরুদ্ধে ফের সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় রানাঘাট মহকুমা আদালত। গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দু'জনই।  দিন কয়েক আগে মুকুল রায়ের গ্রেফতারিতে চারমাসের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। শুক্রবার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল সাংসদের জগন্নাথ সরকার  গ্রেফতারিতেও।