সংক্ষিপ্ত

সংসদে নাগরিকত্ব বিল পাশ হওয়ার পর থেকেই তার বিরোধিতায় সরব তৃণমূল সরকার
বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসাধারন-কে এই বিষয়ে সচেতন করার নির্দেশ দিলেন দলীয় কর্মীদের
সাংগঠনিক জেলা সভাপতিদের শুক্রবারের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী
দলের প্রতিটি কর্মীকে দায়িত্ব নিয়ে প্রতিটি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে সিএএ বিষয়ে প্রচার করার নির্দেশ

সংসদে নাগরিকত্ব বিল পাশ হওয়ার পর থেকেই তার বিরোধিতায় সরব তৃণমূল সরকার। এই বিষয়ে কলকাতা-সহ জেলার একাধিক রাস্তায় তিনি মিছিলে পাঁয়ে হেটে যোগদান করেছেন। তাই এইবারে কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের অবস্থান জানানোর আগে দ্বিতীয় দফার প্রচারে আরও জোর দিতে চান তৃনমূল সুপ্রিমো। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় এবার তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসাধারন-কে এই বিষয়ে সচেতন করার নির্দেশ দিলেন দলীয় কর্মীদের। দলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতিদের শুক্রবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সব কিছু একা হাতে তাঁর পক্ষে করা সম্ভব নয়, তাই দলের প্রতিটি কর্মীকে দায়িত্ব নিয়ে প্রতিটি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে সিএএ বিষয়ে প্রচার করতে হবে।  

আরও পড়ুন- চাকরি দেওয়ার নামে মিথ্য়ে প্রতিশ্রুতি, প্রতারণায় নাম জুড়ল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর

ইতিমধ্যেই সিএএ-র বিরোধীতা করে সুপ্রিম কোর্টে প্রথম মামলা করেছে বামশাসিত কেরল। সেই অনুযায়ী, রাজ্যের এনপিআর-এর কাজও স্থগিত রেখেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এনপিআর-কে সমর্থন করে সেই সংক্রান্ত কোনও কাজে নিয়োজিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। কেরলের পর পঞ্জাবের অমরিন্দার সিং বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাশ করান। কেরল পাঞ্জাবের পরেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রস্তাব পাশ করানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় আগামী ২৭ জানুয়ারি বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাশ করানো হবে বলে জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন- এক ধাক্কায় ৩ ডিগ্রি নামল কলকাতার তাপমাত্রার পারদ, প্রজাতন্ত্র দিবসে জাঁকিয়ে শীত রাজ্যে

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় রাজ্যে এনআরসি, সিএএ ও এনআরপি-এর মত বিষয়ে কংগ্রেসের বিরোধীতার যে ভূমিকা, তাতে তিনি মোটেও সন্তুষ্ট নন। তাই মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই তিনি দলকে নির্দেশ দেন, বাড়ি বাড়ি পৌঁছে এনআরসি বিষয়ে প্রচার সেরে ফেলতে। তিনি নিজে এই বিষয়ে বনগাঁ ও রানাঘাটে তিনটি সভা করবেন বলে জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচী অনুযায়ী, পয়লা ও ২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের সমস্ত ব্লকে হবে প্রতিবাদ কর্মসূচী। ৫ ফেব্রুয়ারি সমস্ত ব্লকে পালিত হবে মানব বন্ধন কর্মসূচী। ৬ ফেব্রুয়ারি  সমস্ত ব্লকে হবে মৌনী মিছিল। ৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা অঞ্চলে হবে পথসভা। এরপর ৮ ও ১০ ফেব্রুয়ারি সমস্ত তফসিলি ও জনজাতি অংশের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে এনআরসি, সিএএ ও এনআরপি-বিষয়ে প্রচার করবে দলের কর্মীরা।