সংক্ষিপ্ত
- নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি
- শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে
- পুলিশকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ বিজেপি সাংসদের
- বিতর্ক তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে রাজ্যে শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে। বেশ কয়েকটি জায়গায় আবার বিজেপির পার্টি অফিসের হামলার অভিযোগও উঠেছে। পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করতে গিয়ে এবার বেঁফাস মন্তব্য করে ফেললেন বাঁকুড়ায় বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। তাঁর কটাক্ষ, 'এ রাজ্যে পুলিশের বন্দুকে কন্ডোম লাগানোর নির্দেশ জারি হয়েছে।' সাংসদের এমন মন্তব্যের বিতর্ক তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে লাগাতার আন্দোলনে ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার থেকে পরপর তিনদিন কলকাতায় মিছিলে হেঁটেছেন তিনি। দলনেত্রীর নির্দেশে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মিছিল-বিক্ষোভে শামিল হচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। গত সোমবার বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের কোটাসুর এলাকার নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে তৃণমূলের মিছিল বের হয়। বিজেপির অভিযোগ, মিছিল থেকে এলাকায় দলের পার্টি অফিসে হামলা চালান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। ভাঙচুর চলে পার্টি অফিস লাগোয়া বেশ কয়েকটি বাড়িতেও। ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। সকলেই অবশ্য পরে জামিন পেয়ে যান। উল্লেখ্য, বীরভূমে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনে হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানা গিয়েছে।\
আরও পড়ুন: হিংসায় আক্রান্তদের দেখতে গিয়ে মুর্শিদাবাদে বাধা পেলেন কৈলাস
এদিকে দলের পার্টি ভাঙচুরের পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবার ময়ুরেশ্বরের কোটাসুরে যান বিজেপি-এর দুই সাংসদ সুভাষ সরকার ও জ্যোর্তিময় সিং মাহাতো। রাজ্যে অশান্তির জন্য নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার। তাঁর সাফ কথা, 'নাগরিকত্ব আইনে মুসলিম শব্দটারই কোনও উল্লেখ নেই। মুসলিম সম্প্রদায়ের যেসব মানুষ বংশপরম্পরায় এ দেশে আছেন, তাঁরা ভারতের নাগরিক, তাঁরা থাকবেন। যাঁরা অনুপ্রবেশকারীদের উস্কানি দিচ্ছে, তাঁরাই পুলিশকে আটকে দিয়েছে। পুলিশের বন্দুকে কন্ডোম পরানোর নির্দেশ জারি করেছে।' এদিন সিউড়িতে বীরভূমের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গেও দেখা করতে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। জেলাশাসক ছিলেন না , তবে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেন সাংসদ। বিজেপি-এর পার্টি অফিসে হামলায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার শ্যাম সিং।