সংক্ষিপ্ত

  • নদিয়ার চাপড়ার ভীমপুরের ঘটনা
  • মৃতের নাম হারাধন মিধা, খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল
  • গ্রাম্য বিবাদে খুন, পাল্টা দাবি শাসক দলের

ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত নদিয়ায়। এবার এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে চাপড়ার ভীমপুরের এলাঙ্গিতে।. ঘটনার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী- সমর্থকরা। মৃত বিজেপি কর্মীর নাম হারাধন মিধা, বয়স পঞ্চান্ন বছর। তিনি এলাঙ্গিরই বাসিন্দা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাতে গরমের জন্য গ্রামের একটি মাঠে শুয়েছিলেন হারাধনবাবু। তখনই কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক বাঁশ, লাঠি নিয়ে তাঁর উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। গাছে বেঁধে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পরে সেখান থেকে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মারা যান ওই বিজেপি কর্মী।
 
বিজেপি-র অভিযোগ, নদিয়া জেলার দু'টি আসনেই হারের আতঙ্ক গ্রাস করেছে তৃণমূলকে। সেই ভয় থেকেই বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকী, শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে ডাক্তারদের পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ বিজেপি নেতাদের। পঞ্চায়েত ভোটের সময়েও হারাধনকে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের।

এ দিকে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলেই পাল্টা দাবি করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। তাঁদের দাবি, গ্রাম্য বিবাদের জেরেই খুন হয়েছেন হারাধন। তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, সুজিত বিশ্বাস নামে স্থানীয় এক যুবককে কয়েকদিন আগে মারধর করেছিল হারাধন। সেই ঘটনার জেরেই তাঁর উপরে হামলা করেছে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা। 

জেলার পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। রাজ্যে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হানাহানি যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে ভোটের ফল বেরনোর পরে কী পরিস্থিতি হবে, তা ভেবেই শিউরে উঠছেন অনেকে।