সংক্ষিপ্ত

  • মালদহের  মানিকচকে নতুন ধরনের 'করুড' বোমার হদিশ মিলল  
  • দেখতে অনেকটা বড় জাম বা চকলেটের মতো আকৃতির এই বোমা  
  •  বিস্ফোরণ স্থল থেকে ৬টি  বিশেষ ধরনের বোমা উদ্ধার করে পুলিশ  
  • আহত দুইজনকে  মানিকচক ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ 

রাজ্যে নতুন ধরনের 'করুড' বোমার হদিশ মিলল মালদহে। সোমবার রাতে,  মালদহের  মানিকচকের কাকড়িবাঁধা সিংপাড়া এলাকার একটি আমবাগানে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। তবে লোকজন পৌছনর আগেই সেখান থেকে চম্পট দেয় দুস্কৃতিরা। সোমবার সকালে মথুরাপুর বাসস্ট্যান্ডে গুরুতর জখম অবস্থায় দেখে সন্দেহ হয় ওই এলাকার বাসিন্দাদের। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ওই দু'জনকে গ্রেফতার করে। এরপর  আহত দুইজনকে  মানিকচক ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। পরে ওই বিস্ফোরণ স্থল থেকে ছয়টি এই বিশেষ ধরনের বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।  

আরও পড়ুন, বাঘ ধরতে রাতেই পাতা হলো ফাঁদ, লাগানো হল ক্যামেরা


রবিবার রাতে, মালদহের  মানিকচকের কাকড়িবাঁধা সিংপাড়া এলাকার আমবাগানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। অনেকটা বড় জাম বা চকলেটের মতো আকৃতির এই বোমা। তবে দেখতে ছোট হলেও  যথেষ্ট শক্তিশালী এই বোমা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের  অনুমান, নিশানা নির্ভুল করতে বাটুলের সাহায্যে এই বোমা ছোড়া হয়। তারপর সোমবার দুপুরে  মালদহের  মানিকচকের কাকড়িবাঁধা সিংপাড়া এলাকায় যান সি,আই,ডি র বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডের সদস্যরা। ওই বিশেষঞ্জরা জানিয়েছেন, এমন বোমা রাজ্যে আগে কখনও দেখেননি তাঁরা। এই বোমা গুলিতে কোনো স্পিল্টারের ব্যবহার নেই। বোমা তৈরীতে  প্রধান উপাদন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ফেরিক অক্সাইড। সাধারন সকেট বোমা বা বল বোমার তুলনায় এগুলির আকৃতি অনেকটাই ছোট। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছেন পুলিশ ও বোম স্কোয়াড। বোমা গুলির প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে নমুনা গুলির ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে। 

আরও পড়ুন, ডাউন আসানসোল-বর্ধমান লোকালে আগুন, ছুটে নামলেন যাত্রীরা

মালদহের ওই এলাকা রাতভর ঘিরে রাখা হয়। পরে আহত দুইজনের খোঁজ মেলে মানিকচক ব্লক হাসপাতালে। সিটু মণ্ডল এবং কৃষ্ণ চৌধুরী নামে ওই দুই যুবক মালদহের ভুতনি থানা এলাকার বাসিন্দা। কি উদ্দেশ্যে বোম গুলি তৈরী বা মজুদ করা হয়েছিল তা জানতে ধৃতরা সুস্থ হবার পর জিঞ্জাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। এদিন নির্জন আমবাগানে বিকেল নাগাদ ওই বোম গুলি নিস্কৃয় করা হয়। বোমা নিস্কৃয় করার সময়ও সশব্দে কেঁপে উঠে এলাকা।