সংক্ষিপ্ত

 

  • বন্ধুকে বিরিয়ানি দিতে গিয়ে নিখোঁজ 
  • মালদহে কিশোরকে কুপিয়ে খুন
  • জাতীয় সড়কের ধারে মিলল রক্তাক্ত দেহ
  • নেপথ্যে পরকীয়া, অনুমান পুলিশের

পরকীয়া সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে খুন। জাতীয় সড়কে ধারে মিলল কিশোরের রক্তাক্ত দেহ। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের কালিয়াচকে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মৃতের নাম সায়েম মোমিন। কালিয়াচক এলাকার এক মাদ্রাসার পড়ুয়া ছিল সে। রবিবার রাতে বাড়িতেই বন্ধুদের নিয়ে পিকনিকের আয়োজন করেছিল সায়েম। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, পিকনিকে বিরিয়ানি  রান্না করা হয়। পিকনিকের পর রাতে এক বন্ধুকে বিরিয়ানি দিতে যাওয়ার কথা বলে বাড়িতে বেরোয় ওই কিশোর। কিন্তু বাড়ি ফেরেনি সে।  বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করাই শুধু নয়, রাতে খোঁজাখুজি করেও সায়েম-এর সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে। সোমবার সকালে কালিয়াচকের বড়নগরডাঙা এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ওই কিশোরের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে কালিয়াচক থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন: মেয়ের দিকেও কুনজর প্রেমিকের, 'অসুর বধ' করে অনুতপ্ত নয় সরস্বতী

আরও পড়ুন: বনকর্মীদের গুলিতে যুবকের মৃত্যু, অগ্নিগর্ভ কালচিনি

কিন্তু কী কারণে খুন  হতে হল ওই কিশোরকে? তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, রবিবার রাতে যাকে বিরিয়ানি দেওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সায়েম, তাঁর স্ত্রী-এর সঙ্গে সম্ভবত পরকীয়া সম্পর্ক ছিল মৃতের। আর সেই সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণেই খুন করা হয়েছে ওই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে।  ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে মৃতের বাড়ির লোক ও বন্ধুবান্ধবদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে দক্ষিণ ২৪ পরগণার চম্পাহাটিতে স্কুল থেকে ফেরার পথে এক কিশোরীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় কয়েকজন যুবক।  ঘটনার কয়েক দিন পর হাসপাতালে মারা যায় সে।  প্রেমের প্রস্তাব রাজি না হওয়ার কারণেই ওই কিশোরীকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এবার মালদহেও কি প্রণয়জনিত কারণেই খুন হয়ে গেল কিশোর? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।