সংক্ষিপ্ত

সোমবার রাতে পুলিশী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নাইট কার্ফু ভাঙার অপরাধ। বিনা মাস্কে রাস্তায় বেরোনোয় ৬৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। 

পূর্ব বর্ধমান জেলায় (East Burdwan District) নাইট কার্ফু (Night curfew) জারি হলেও বেপরোয়া মানুষজনের গতিবিধি। সোমবার রাতে পুলিশী নিষেধাজ্ঞা (Police Protocol) অমান্য করে নাইট কার্ফু ভাঙার অপরাধে ও বিনা মাস্কে রাস্তায় বেরোনোয় ৬৩ জনকে(63 people) গ্রেপ্তার (Arrested) করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। বর্ধমান থানার আই সি সুখময় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে রবিবার রাতে জিটি রোডের কার্জন গেট চত্বরে অভিযান চালানো হয়। 

পুলিশ প্রশাসনের মাইকিং সহ বিভিন্ন ভাবে প্রচার স্বত্বেও মাস্ক পরার অনীহা জেলার সর্বত্র। অন্যদিকে পুজোর পর হু হু করে বাড়ছে জেলায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। তবু হেলদোল নেই একশ্রেণির মানুষের। নাইট কার্ফু চালু হবার পর রবিবার রাতে যাতায়াত করছিলেন বহু মানুষ । বর্ধমান থানার পুলিশ এই সমস্ত পথচারীদের গ্রেপ্তার করে যাদের মাস্ক নেই তাঁদের হাতে মাস্ক তুলে দেয়। পাশপাশি প্রত্যেককে ফের রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের না হওয়ার যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে তাও স্মরণ করিয়ে দেয়। 

Bank holidays November 2021- নভেম্বরে ১৭ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, দেখে নিন বাংলায় কবে

এই পাঁচ বলিউড সেলিব্রিটির কেরিয়ার প্রায় নষ্ট করে দিয়েছিলেন সলমন খান

পিরিয়ডসের সময় এই নিয়মগুলো মানেন তো, জেনে রাখা উচিত পুরুষদেরও

যদিও এদিন গ্রেপ্তার করা সকলকে ব্যক্তিগত বণ্ডে সই করিয়ে  ছেড়েও দেওয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম দু একদিন সতর্ক ও সচেতন করার লক্ষ্যে পুলিশ সহনশীলতা দেখাচ্ছে। তবে এই প্রবণতা যদি চলতে থাকে সেক্ষেত্রে পুলিশ কড়া হাতেই নাইট কার্ফু অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরও অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন কোভিডে। প্রতিদিনই জেলা তো বটেই বর্ধমান শহরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবুও অপ্রয়োজনে বহু মানুষ সামাজিক দূরত্ব বিধি শিকেয় তুলে জমায়েত করছে। একই দোষে অপরাধী শাসক বিরোধী সব রাজনৈতিক দলগুলিও।

সংক্রমণে লাগাম টানতেই এবার বর্ধমানের রাজপথে অভিযানে নামল পুলিশ। বাসিন্দাদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি শুরু হয়েছে ধরপাকড়। যেহেতু পুজোর সময় করোনা পরীক্ষাও তুলনামূলকভাবে অনেক কম হয়েছে। তাই পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যাও অনেকটাই বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

কোভিড পরবর্তী বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হচ্ছেন অনেকেই। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশুদের জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সংক্রমণ। গত একমাসে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হওয়ার ৯জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এখনও বহু শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিশুদের এখনও ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি।