সংক্ষিপ্ত
- এনআরএসে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি
- ব্যাহত হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা
- জুনিয়র চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ
- হাসপাতালে গিয়ে প্রতিবাদের মুখে মন্ত্রী
এনআরএস হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। হাসপাতালে ঢোকার মুখে তাঁর গাড়ি সামনে বসে পড়েন বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। বাধ্য হয়ে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে হাসপাতালে ঢোকেন মন্ত্রী।
সোমবার রাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এনআরএস হাসপাতাল। এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায় মৃতের পরিজনরা। সেই সময়ে পরিবহ মুখোপাধ্যায় নামে এক জুনিয়র চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর করা হয়। যার জেরে গুরুতর আহত হন ওই চিকিৎসক। মাথায় গুরুতর চোট নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। যশ টেকওয়ানি নামে আরও এক চিকিৎসকও আহত বলে জানা গিয়েছে।
এর পরেই কাজ বন্ধ করে দেন হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। সকালে হাসপাতালের গেটেও তালা দিয়ে দেন তাঁরা। বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালের ওপিডি পরিষেবা। হাসাপাতালে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবাও ব্যাহত হয়। সমস্যায় পড়েন অসংখ্য রোগী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের অবিলম্বে কাজে যোগ দিতে বলা হয়। তাঁদের নিরাপত্তার আশ্বাসও দেয় স্বাস্থ্য ভবনের প্রতিনিধি দল। তাতেও কাজের কাজ হয়নি। নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন চিকিৎসকরা। মুখ্যমন্ত্রী দফতর থেকেও অবিলম্বে পরিষেবা স্বাভাবিক করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে এর পরেই হাসপাতালে যান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কিন্তু হাসপাতালে ঢোকার সময়ে তাঁর গাড়ির সামনে বসে পড়েন বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। বাধ্য হয়ে গাড়ি থেকে নেমে হাসপাতালে ঢোকেন মন্ত্রী। আহত জুনিয়র ডাক্তারকে দেখার পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। হাসপাতাল সুপারের সঙ্গেও আলোচনা করেন। তাতেও কোনও কাজ হয়নি।
শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। বিক্ষোভাকারীদের সঙ্গে কথা বলে জুনিয়র চিকিৎসকদের জন্য যথাযথ নিরাপত্তার আশ্বাস দেন তিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়। যদিও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন এনআরএসের জুনিয়র চিকিৎসকরা।