সংক্ষিপ্ত

উত্তরবঙ্গকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে একের পর পর পরিকল্পনার কথাও জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ১ নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ফের একবার দুয়ারে সরকার শুরু করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
 

পুজোর পরেই উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার শিলিগুড়ির কাওয়াখালী গ্রাউন্ডে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হল বিজয়া সম্মেলনী। এদিন বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চ থেকে আবেগঘন বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। 'উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ নিয়েই বাংলা', উত্তরবঙ্গবাসীকে বার্তা মমতার। পাশাপাশি বিরোধীদের আক্রমণ করতেও ছাড়লেন না তৃণমূল সুপ্রিমো। 

১৯ অক্টোবর, বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের মধ্যেই শিলিগুড়িতে আয়োজিত হল বিজয়া সম্মেলনীর। গত দু'বছর কোভিডের কারণে অনুষ্ঠান বন্ধ থাকলেও এই বছর ফের বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করল ঘাসফুল শিবির। বিজয়া সম্মেলনীর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একাধিক জেলার ডিএম, এসপি-সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক মন্ত্রী-বিধায়ক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শিল্প ও ব্যবসা জগতের নানা বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে উত্তরবঙ্গবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন,"আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়েই চলি। চা বাগানে আমার যে ভাই বোনেরা কাজ করে আমি তাঁদেরও মন থেকে অভিনন্দন জানাই।" পাশাপাশি কালীপুজো ও অন্যান্য অনুষ্ঠানেও দুর্গাপুজোর মতই সরকারের পাশে থাকার আহ্বান জানালেন মমতা। "একসঙ্গে কাজ করলে আমাদের উত্তরবঙ্গ আরও শক্তিশালী হবে। নর্থবেঙ্গল, সাউথ বেঙ্গল মিলিয়েই পশ্চিম বাংলা। উত্তরবঙ্গে পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য অনেক কিছু বানিয়েছি।  ট্যুরিসম ডেস্টিনেশনের জন্য সম্মান দেওয়া হয়েছে। মার্চ মাসে যাব এই সন্মান আনতে।" সংযোজন মমতার। 

উত্তরবঙ্গকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে একের পর পর পরিকল্পনার কথাও জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ১ নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ফের একবার দুয়ারে সরকার শুরু করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কোনও ভাগাভাগী, কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমরা একসঙ্গে আছি বলেই শান্তি বিরাজ করছে। বঙ্গভঙ্গ নয় বঙ্গ চায় সঙ্গ।" 

এর আগে মঙ্গলবারই মাল আদর্শ বিদ্যাভবনে মাল নদীতে হরপাবানে উদ্ধারকার্যে যুক্ত যুবকদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এইদিনই সাহসিকতার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার স্বরূপ ১ লাখ টাকার চেক ও সরকারি শংসাপত্র গ্রহণ করেন মাল নদীতে হরপা বানের সময় উদ্ধারকার্যে সামিল মহম্মদ মানিক। পাশাপাশি প্রত্যেককে যোগ্যতা অনুযায়ী  গ্রুপ-সি অথবা কনস্টেবলের চাকরির প্রস্তাবও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

এই দিন দশমীর দিন মাল নদীর ভয়াবহ বানের হাত থেকে দুর্গতদের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন যারা তাঁদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জিজ্ঞেস করেন, "সরকারের কাছ থেকে তোমরা কি কিছু আশা করছ?" প্রশ্নের উত্তরে কাজ একটা কাজের সংস্থান চান তাঁদের মধ্যে অনেকেই। এরপরই যোগ্যতা অনুযায়ী প্রত্যেককে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। 

আরও পড়ুন - 

এবার ইডির জালে মানিক ভট্টাচার্য, রাতভর জেরার পর গ্রেফতার প্রাথমিকের প্রাক্তন সভাপতি

বালাসাহেব ঠাকরের প্রকৃত উত্তরাধিকারী কে? উত্তর না মেলায় দুই গোষ্ঠীকেই অন্তবর্তী চিহ্ন আর নাম কমিশনের

জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর আহত 'জুম', জানুন ভারতীয় সেনা বাহিনীর সারমের লড়াইয়ের কথা