সংক্ষিপ্ত

মমতা ও যোগীকে কথা বলতে দেখে কিছুটা হলেও চমকে গিয়েছিলেন ত্রিপুরার মন্ত্রী বিপলব দেব। অন্যদিকে তাদের কথা বলতে দেখে অবাক হয়েছিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরও। 
 

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ- দুজনেই একে অপরের প্রবল বিরোধী হিসেবে পরিচিত জাতীয় রাজনীতিতে। সম্প্রতী দুজনের দুরত্ব আরও বেড়েছে। একে অপরের প্রবল সমর্থক হিসেবেও পরিচিত। এই অবস্থাতেই দুইজনেক একই মঞ্চে দেখা যায়। তাঁরা একে অপরের কাছাকাছিও আসেন।  দুজনে কথাও বলেন। তবে কী কথা হয়েছিল তা অবশ্য জানা যায়নি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন মমতা ও যোগী সৌজন্য বিনিময় করেছেন। 

শনিবার দিল্লিতে সুপ্রিমকোর্টের বিচার ও রাজ্যের রাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়ে একটি আলোচনা সভা ছিল । সেই সভায় প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও আমন্ত্রণ জানান হয়েছিল। 'চিফমিনিস্টার্স-চিফজাস্টিসেস কনফারেন্স অন জুডিশিয়ারি' নামের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মনতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই দিল্লিতে গিয়েছিলেন মমতা। সেখানেই দেখা হয়িছিল যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে। দুজনে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করেন। এই অনুষ্ঠানে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও দেখা করেছিলেন মমতার সঙ্গে। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে যায় দিদি ও যোগীর সৌজন্য সাক্ষাৎকার।

মমতা ও যোগীকে কথা বলতে দেখে কিছুটা হলেও চমকে গিয়েছিলেন ত্রিপুরার মন্ত্রী বিপলব দেব। অন্যদিকে তাদের কথা বলতে দেখে অবাক হয়েছিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরও। 

সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে তোলপাড়  শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। এই রাজ্যে বিশেষ প্রতিনিধি দলও পাঠিয়েছিল। গোটা ঘটনাই ছিল এই রাজ্যে বাগটুই ও হাঁসখালিতে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠানোর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া। যাইহোক উত্তর প্রদেশকাণ্ডে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গেও দেখা করে। বাংলা ও বিধানসভা নির্বাচনের আসরেও যোগী ও মমতা একে অপরের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন। তাতেই স্পষ্ট হয়েছে দুই পক্ষের দূরত্ব। কিন্তু এদিন সবকিছুই ছাপিয়ে যায় রাজনৈতিক সৌজন্য। কথাতেই রয়েছে রাজনীতিতে সবকিছুই সম্ভব। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অনিবার্য কারণে তা সম্ভব হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের পাশাপাশি বিজেপির তীব্র বিরোধী বলেও নিজেকে ও তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছেন। তিনি সর্বদাই দাবি করেন তিনি বিজেপির সবথেকে বড় বিরোধী। জাতীয় রাজনৈতিতেও এভাবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন তিনি। বিজেপি বিরোধী দল হিসেবে তৃণমূলকেও সামনে আনতে চাইছেন তিনি।