সংক্ষিপ্ত

৮৫ শতাংশের অধিক ভোট পোল হলেও, মুর্শিদাবাদে সদর শহর বহরমপুর,জঙ্গিপুর, ধুলিয়ান কংগ্রেস ও বিজেপির সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূলের দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে।


পুরভোটের (Municipal elections 2022) আবহে রবিবার দিনভর উত্তপ্ত ছিল বাংলার মাটি। গোটা রাজ্যেই দেদার ছাপ্পা ভোট, বুথ জ্যামের অভিযোগ উঠেছে রাজ্যে। ৮৫ শতাংশের অধিক ভোট পোল হলেও, মুর্শিদাবাদে সদর শহর বহরমপুর,জঙ্গিপুর, ধুলিয়ান কংগ্রেস ও বিজেপির সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূলের দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে। তারপরে ভোট শেষে বিস্ফোরক হয়ে উঠলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী(Adhir Ranjan Chowdhury, President of Pradesh Congress)। রীতিমতো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে ন্যায় বিচার চেয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার ডাক দিলেন তিনি। 

এই ঘটনার পর শুরুতেই তিনি বলেন," মুর্শিদাবাদ জুড়ে বহরমপুর শহর সকাল থেকে পরিকল্পনা করে তৃণমূল কর্মী ও তাদের দলের দুষ্কৃতীরা সাধারণ বাড়ির ভোটার কংগ্রেস কর্মী মহিলাদের মারধোর থেকে শুরু করে ভোটদানে বাধা দেয়। এতে কাজ না হলে নজিরবিহীনভাবে ভোটদান কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থীকে পর্যন্ত প্রবেশ করতে দেয়নি। এই ঘটনা রাজনৈতিক ইতিহাসে অভূতপূর্ব।ফলে গণতন্ত্রের এমন অপমৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়া প্রয়োজন। তৃণমূল পুরো রাজ্যটাকে ছারখার করে দিলো এক নয়া সংস্কৃতির আমদানির মধ্যে দিয়ে"।

আরও পড়ুন-যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, ভিন্টেজ কার নিয়েই কলকাতার রাস্তায় নেমে বড় চমক মদনের

আরও পড়ুন- কাজের চাপে আত্মহত্যা, রেলের কর্মীর মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ হাওড়ার লিলুয়া ইয়ার্ডে

আরও পড়ুন- যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনে আটকে গাইঘাটার যুবক, উদ্বেগে গোটা পরিবার

পাল্টা এ ব্যাপারে টাউন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বলেন,"অধীর রঞ্জন চৌধুরী ভালো করে বুঝে গিয়েছে কংগ্রেস বহরমপুর সহ অন্যান্য পুরো এলাকায় মুর্শিদাবাদে হেরে যেতে চলেছে, তাই দিশেহারা হয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে এমন কথা বলছেন"।যদিও মুর্শিদাবাদ শহর জুড়ে চলা দিনভর দুষ্কৃতী দৌরাত্ম নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। এদিকে রবিবার ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হওয়ার পর বহরমপুরের খাগড়ার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এসেছিলেন আধীর চৌধুরী। সেইসময় রাস্তায় তাঁর গাড়ি আটকে রাস্তায় বসে যান তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় ও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। শুরু হয়ে যায় স্লোগান। এনিয়ে পাল্টা তোপ দাগতে দেখা যায় অধীর চৌধুরীকে। এই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “এই ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্য একটাই। এবার বহরমপুর শহরে ভোট লুট হবে। তার আগে আমাকে আটকে রেখে একটা ক্যাওস তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে। খোলা আর্মস নিয়ে তৃণমূল ভোট লুটের ব্যবস্থা করেছে।” যদিও পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে ঘোরাওমুক্ত হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।