সংক্ষিপ্ত
- খড়গপুরে উপনির্বাচনে আগে ধাক্কা খেল তৃণমূল
- তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন এক কাউন্সিলর
- গত পুরভোটে অবশ্য গেরুয়াশিবিরের টিকিটেই জিতেছিলেন তিনি
- পরে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে
আর সপ্তাহ দুয়েকের পর বিধানসভা উপনির্বাচন। খড়গপুরে বড়সড় ধাক্কা খেল তৃণমূল কংগ্রেস। দলবদল করে বিজেপিতেই ফিরে গেলেন খড়গপুর পুরসভার কাউন্সিলর বেলারানী অধিকারী। তাঁর দলবদল উপনির্বাচনে তৃণমূলে চাপ ফেলবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
গত পুরভোটে খড়গপুরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজেপির টিকিটেই কাউন্সিলর নির্বাচিত হন বেলারানি অধিকারী। বস্তুত খড়গপুর পুরসভায় সাতটি আসনে জিতেছিলেন গেরুয়াশিবিরের প্রার্থী। কিন্তু বেলারানি-সহ ছয়জন কাউন্সিলরই পরে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। বিজেপির অভিযোগ ছিল, স্বেচ্ছায় নয়, বরং চাপ দিয়েই কাউন্সিলরদের দলবদল করতে বাধ্য করেছেন শাসকদলের স্থানীয় নেতারা। সে যাই হোক, দলবদলের পর তৃণমূলের হয়ে বিভিন্ন জায়গা প্রচার করতে দেখা গিয়েছে বেলারানিকে। তৃণমূলের অন্দরের খবর, ইদানিং দলের সঙ্গে কাউন্সিলর বেলারানি অধিকারীর দূরত্ব বাড়ছিল। শেষপর্যন্ত বিধানসভা উপনির্বাচনে ঠিক আগেই বিজেপিতে ফিরলেন তিনি।
এই ঘটনা কি উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে ফেলবে? খবর তেমনই। যে ওয়ার্ড থেকে বেলারানি অধিকারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন, খড়গপুর শহরের সেই ২৫ ওয়ার্ড বিজেপির শক্তঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত। এলাকায় কাউন্সিলরের প্রভাবও যথেষ্ট। সেক্ষেত্রে ভোটে যদি প্রভাব পড়ে, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। অন্তত তেমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি অবশ্য বলছেন, বেলারানি অধিকারী স্বেচ্ছায় দলে এসেছিলেন, আবার স্বেচ্ছায় দল ছেড়ে চলে গিয়েছে। ভোটে এর কোনও প্রভাব পড়বে না।