সংক্ষিপ্ত

  • ঘূর্ণিঝড় যশ এগিয়ে আসছে উপকূলের দিকে 
  • প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় তৈরি দিঘা 
  • কাজ শুরু করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল 
  • আকাশ পথে নজর রাখা হচ্ছে  

রীতিমত শক্তি সঞ্চয় করে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় যশ (yaas)। আবহাওয়া দফতরের পূর্বভাস বুধবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের সাগর থেকে ওড়িশার পারাদ্বীপের মধ্যবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। তবে তার আগে থেকেই শুরু হবে প্রাকৃতি দুর্যোগ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে দিঘায়। একদিকে মহড়া দিচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের দফায় দফায় সতর্ক করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সতর্ক করা হচ্ছে স্থানীয় মৎসজীবীদের। আকাশপথেও সার্ভে চালান হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ঘূর্ণীঝড়ের পরিস্থিতি। মেদিনীপুরের পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকার ওপরেও আকাশ পথে নজর দেওয়া হচ্ছে। 


আগেই দিঘায় পৌঁছে গিয়েছিল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বেশ কয়েকটি দল কাজ করছে দিঘা সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা। তারা ইতিমধ্যেই মক ড্রিল শুরু করেছে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করার কাজও চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আগে থেকেই ফাঁকা রয়েছে দিঘা সমুদ্র সৈকত। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দোকানপাট। যদিও করোনা সংক্রমণ রুখতে গোটা রাজ্যেই লকডাউন চলছে। তাই প্রায় পর্যটক শূন্য অবস্থায় রয়েছে দিঘা। 

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে রাজ্য কাজ করছে ৫১টি বিপর্যয় মোকাবিলা দল। রাজ্যে ৪ হাজার সাইক্লোন শেল্টার তৈরি রয়েছে। যেকোনও সময়ই উপকূলবর্তী নিচু এলাকা থেকে সরিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদেকর সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যেই ৪ হাজার ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ত্রিপল শুকনো খাবার সহ একাধিক সামগ্রী বিলি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দিঘার পাশাপাশি মন্দারমণি ও তাজপুরের সমুদ্র সৈকতও পর্যটকশূন্য রয়েছে। তারপরেও সেই এলাকাগুলিতে সতর্কতা প্রচার চলছে। আবহাওয়া দফতেরর পাশাপাশি রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকেও মৎসজীবীদের সতর্ক করা হয়েছে। সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।