সংক্ষিপ্ত
- আমফানে ভেঙে গিয়েছিল নদীবাঁধ
- এক বছরেও সেই বাঁধ মেরামতি করা হয়নি
- উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে যশ
- আরও একবার বিপদের আশঙ্কা স্থানীয়দের
ক্রমশই শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় যশ। আবহাওয়ার দফতরের পূর্বভাস অনুযায়ী এদির মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিচ্ছে। তবে সুপার সাইক্লোন নয়। প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি জলোচ্ছ্বাসও হতে পারে বলে উপকলূবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক তরা হয়েছে। কিন্তু বাংলার পুরনো একটি প্রবাদ রয়েছে। তা হল নদীর ধারে বাস দুঃখ বারো মাস। সেই অবস্থাই হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়ার বাসিন্দাদের। আমফানের তাণ্ডবে ভেঙে যাওয়া বাঁধ এখনও তড়িঘড়ি জোড়াতাপ্পি দিয়ে মেরামতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মহিষাদল ব্লকের অমৃতবেরিয়া অঞ্চলের রূপনারায়ন নদীর পাড়ের বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল আমফানের সময়। তারপর কেটে গেছে এক বছরেরও বেশি সময়। কিন্তু মেরামতি করা হয়নি সেই বাঁধ। গত বার্ষায় বালির বস্তা ফেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছিল। কিন্তু এবার বর্ষার শুরুতেই চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় যশ। ঘূর্ণিঝড় যশের তাণ্ডবে নদী বাঁধ ভাঙ্গার আশঙ্কা রয়েছে অমৃতবেড়িয়া অঞ্চলের নদীর পাড় বরাবর বসবাসকারী বাসিন্দাদের।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ঝড় বৃষ্টির সময় হলেই প্রশাসনের তরফ থেকে নদী বাঁধ সাৱানোর কাজ শুরু হয়। সঠিকভাবে কাজ না হওয়ার ফলেই প্রত্যেক বছর এই ভাবেই ভেঙে যায় নদী বাঁধ। ঝড়ের সময় বাড়ির ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে রাস্তায় এসে আশ্রয় নিতে হয় এলাকার বাসিন্দাদের। প্রশাসনের তরফ থেকে কোনো রকম ত্রাণ শিবির ব্যবস্থা করা হয় না।যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় বিধায়ক। মহিষাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন প্রশাসনের তরফ থেকে সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে নদী বাঁধ সরানোর কাজ চলছে। স্থানীয় স্কুলগুলিতে ত্রাণশিবির এর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং শুকনো খাবার এবং ওষুধের ও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।