সংক্ষিপ্ত
- পাঁচদিন নিখোঁজ থাকার পর কলেজ ছাত্রীর পচাগলা দেহ উদ্ধার হল মালদহে
- ধানক্ষেত থেকে ওই তরুণীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ
- বিয়ের রাজি না হওয়াতেই খুন, দাবি পরিবারের লোকেরা
- দোষীদের শাস্তির দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ
পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। শেষপর্যন্ত পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হল এক কলেজছাত্রীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ মালদহ। দোষীদের শাস্তির দাবিতে শনিবার সকালে রতুয়ায় রাস্তা অবরোধ করে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন মৃতার পরিবারের লোক ও স্থানীয়েরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় ওই যুবতীকে খুন করেছে পাত্রই। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মৃত কলেজ ছাত্রীর নাম রেজিনা খাতুন। মালদহের রতুয়ার বাহারালের উত্তর সাহাপুর গ্রামে বাড়ি বছর একুশের ওই তরুণীর। সামসি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন রেজিনা। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, বছর দুয়েক আগে বাপি শেখ নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ের ঠিক হয়েছিল রেজিনা। বিয়ে ঠিক হওয়ার পর সেনাবাহিনীতে চাকরি পায় বাপি। এমনকী, চাকরি পাওয়ার সময় হবু স্ত্রীর পরিবারের কাজ থেকে সে ১০ লক্ষ টাকাও নিয়েছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু এরপরই ঘটনা অন্যদিকে মোড়। রেজিনা খাতুনের পরিবারের অভিযোগ, সেনাবাহিনীতে চাকরি পেয়েই অন্য এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বাপি। দিন পনেরো আগে যখন ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসেছিল বাপি, তখন ওই তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ট অবস্থায় ধরাও পড়ে যায় সে। বিষয়টি মীমাংসা করতে গ্রামে সালিশি বসে। কিন্ত বাপির সঙ্গে মেয়ের বিয়ের দিতে রেজিনা খাতুনের পরিবারের লোকেরা আর রাজি হননি বলে বলে জানা গিয়েছে।
পরিবারের লোকেরা দাবি, গত ১৪ অক্টোরর বান্ধবীদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান রেজিনা। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। থানায় ওই তরুণীর নামে নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন তাঁরা। শুক্রবার বিকেলে মালদহের সামসি কলেজ মোড়ের কাছে একটি ধানক্ষেতে রেজিনার খাতুনের পচাগলা দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় রতুয়া থানার পুলিশ। থানায় গিয়ে মৃতদেহটি শনাক্ত করেন রেজিনার পরিবারের লোকেরা। এদিকে শনিবার সকাল থেকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকায়। রতুয়া বাহারাল মোড়ে দোষী শাস্তির দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান মৃতার পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তার জ্বালানো হয় টায়ারও। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।