সংক্ষিপ্ত
তপন কান্দুর মৃত্যুর পরেই গতকাল ঝালদা থানার পুলিশ তাঁর দাদা নরেন কান্দুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। পাশাপাশি দীপককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদিকে এই ঘটনার তদন্ত থেকে ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে সরিয়ে তদন্তভার দেওয়া হয় ঝালদা মহকুমা পুলিশ আধিকারিককে।
ঝালদার (Jhalda Municipality) কংগ্রেস কাউন্সিলার (Congress Councilor) তপন কান্দু (Tapan Kandu) হত্যা কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল তাঁর ভাইপো দীপক কান্দুকে (Deepak Kandu Arrest)। কাউন্সিলরকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগে ঝালদা থানায় (Jhalda Police Station) দীপক-সহ তাঁর বাবা নরেন কান্দু ও বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। তারপরই তদন্তে নেমে আজ সন্ধের দিকে গ্রেফতার করা হয় দীপককে।
তপন কান্দুর মৃত্যুর পরেই গতকাল ঝালদা থানার পুলিশ তাঁর দাদা নরেন কান্দুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। পাশাপাশি দীপককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদিকে এই ঘটনার তদন্ত থেকে ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে সরিয়ে তদন্তভার দেওয়া হয় ঝালদা মহকুমা পুলিশ আধিকারিককে। তারপরই তদন্তে নেমে আজ দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উল্লেখ্য, দীপক কান্দু ঝালদা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন। অন্যদিকে এই ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দীপক কান্দুর বিপক্ষে কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন তপন কান্দু। কাকা ভাইপোর এই লড়াইয়ে ভাইপো দীপক কান্দুকে হারিয়ে জয়লাভ করেন কাকা। অবশেষে তপনের মৃত্যুর ৪৮ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পর দীপককে গ্রেফতার করল পুলিশ।
এদিকে আজ ঝালদায় গিয়ে নিহত তপন কান্দুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। তার সঙ্গে ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো। বেশ কিছুক্ষণ আব্দুল মান্নান ছিলেন নিহতের বাসভবনে। তার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতের স্ত্রী তথা ঝালদা ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার পূর্ণিমা কান্দু। তিনি বলেন, "ঘটনার তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত ঝালদায় বোর্ড গঠন করতে দেওয়া যেন না হয়।"
মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে আব্দুল মান্নান বলেন, "রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। রক্ষকই ভক্ষক।" তাই সিবিআই তদন্তের দাবি করছেন তাঁরা। যাঁদের এই ভাবে খুন করা হয়েছে সবার ক্ষেত্রেই তাঁরা উপযুক্ত তদন্তের জন্য আদালতে যাবেন বলে জানান। অভিযোগ ওঠার পরও আই সি-কে কেন এখনও সাসপেন্ড করা হয়নি তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা। দাবী করেন দোষী পুলিশ আধিকারিকদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির।
আরও পড়ুন, 'এভাবে আমাদের মেরে শেষ করা যাবে না', কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে ধিক্কার ফিরহাদের
প্রসঙ্গত, রবিবার পুরুলিয়ার ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়, রাঁচির একটি বেসরকারি হাসপাতলে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্য়ু হয় কংগ্রেস কাউন্সিলরের। এদিকে ত্রিশঙ্কু ঝালদা পুরসভায় কংগ্রেসকে সংখ্যালঘু করতেই শাসকদল হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো। রবিবার দুপুরে নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে সংবর্ধনা সভা করেছিল কংগ্রেস। সেখানে সস্ত্রীক যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সভা থেকে বিকেলে একাই বেরিয়ে যান। রাস্তায় আচমকাই তিন দুষ্কৃতী গুলি করে পালায়। প্রথমে গুরুতর জখম তপন কান্দুকে নিয়ে যাওয়া হয় ঝালদা মহাকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকেই স্থানান্তরিত করা হয়, রাঁচির বেসরকারি হাসপাতালে। এরপরেই মৃত্যু হয় তাঁর। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই খুনের মামলায় নিহত তপন কান্দুর ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।