সংক্ষিপ্ত

  • চোয়াল থেকে ঝুলছিল বিশাল মাংসপিণ্ড!
  • জটিল অস্ত্রোপচার করে রোগীকে বাঁচালেন চিকিৎসকরা
  • ফের নজির বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালের
  • চিকিৎসকদের ভূমিকায় খুশি রোগীর পরিবারের

জটিল অস্ত্রোপচারে ফের সাফল্য। টানা ১০ ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করে জটিল রোগে আক্রান্ত এক যুবককে সুস্থ করে তুললেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকরা।  চিকিৎসকদের ভূমিকায় খুশি রোগীর পরিবারের লোকেরাও।

চোয়ালের নিচে এক বিশাল মাংসপিণ্ড! বাড়তে বাড়তে তা নেমে এসেছিল গলা পর্যন্ত।  দীর্ঘদিন ধরেই জটিল অসুখে ভুগছিলেন বছর ছত্রিশের এক যুবক। ওই যুবকের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে বুদবুদ এলাকায়।  তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের লোকেরা। ডাক্তারি পরীক্ষায় ওই যুবকের চোয়ালে নিচে মাংসপিণ্ড বা টিউমারে ক্য়ানসার ধরা পড়ে। রিপোর্ট পাওয়ার পর রোগীকে বেশ কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রাখেন হাসপাতালে এএনটি বিভাগের চিকিৎসকরা। শেষপর্যন্ত অস্ত্রোপচার করে মাংসপিণ্ডটিকে শরীর থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীর শরীরে অস্ত্রোচারের জন্য বেশ কয়েকজন চিকিৎসককে নিয়ে একটি দল গঠন করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।  জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই অস্ত্রোপচার করে ওই যুবকের শরীর থেকে মাংসপিণ্ডটিকে বাদ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। শুধু তাই নয়, মাইক্রো ভাসকুলার রিকনস্ট্রাকশন পদ্ধতিতে রোগীর শরীরের অন্য অংশের চামড়া  দিয়ে অস্ত্রোপচার করা জায়গাটি মেরামতও করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচার সফল। রোগীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।  এখন সিসিইউতে থাকলেও, খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন ওই যুবক। সরকারি হাসপাতালে পরিষেবায় খুশি রোগীর পরিবারের লোকেরাও।

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ বা হাসপাতালে জটিল বা ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার যে এই প্রথম হল, এমনটা কিন্তু নয়। কয়েকদিন হাসপাতালে ইএনটি বিভাগেই জটিল অস্ত্রোপচার করে এক মহিলার প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। ওই মহিলার গলায় বিশাল একটি টিউমার ছিল।  রীতিমতো ঝুঁকি নিয়ে অস্ত্রোপচার করেছিলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের চিকিৎসকরা।