সংক্ষিপ্ত
- রাতে খাবার জন্য মাংস রান্না করে রেখেছিলেন এক মহিলা
- সেই খাবারে মুখ দিয়ে দেয় তাঁরই পোষা কুকুর
- কুকুরটিকে তিনি পুড়িয়ে মেরেছেন বলে অভিযোগ
- ঘটনার প্রতিবাদে সরব পশুপ্রেমীরা
রাতে খাবেন বলে মাংস রান্না করে রেখেছিলেন। কিন্তু আর খাওয়া হল কই! বাড়ির পোষ্য কুকুরটি খাবারে মুখ দিয়ে ফেলল। আক্রোশে অবলা প্রাণীটি পুড়িয়ে খুন করলেন বাড়ির মালকিন! এমনই নৃশংস ঘটেছে মেদিনীপুর শহরে। ঘটনার প্রতিবাদে সরব পশুপ্রেমীরা। মৃত কুকুরটিকে নিয়ে থানার হাজির হন তাঁরা। দায়ের করা হয় লিখিত অভিযোগ।
মেদিনীপুর শহরের পালবাড়ি এলাকায় থাকেন সুমিত্রা বেহারা। বাড়িতে একটি পথকুকুর পুষেছিলেন তিনি। গত সোমবার রাতে খাওয়ার জন্য বাড়িকে মাংস রান্না করেছিলেন সুমিত্রা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রান্না করা মাংসে মুখ দিয়ে ফেলেছিল কুকুর। আর তাতেই অগ্নিশর্মা হয়ে যান ওই মহিলা। অভিযোগ, রাতে বাড়ির বাইরে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে কুকুরটির গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন সুমিত্রা। পরে অবলা প্রাণীটির পায়ে দড়ি বেঁধে ফেলে দিয়ে আসেন নদীর পাড়েও। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। ঘটনাটি টের পেয়ে যান প্রতিবেশীরা। খড়গপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে খবর দেন তাঁরা।
সেই সংগঠনের আকাশ পাইন জানিয়েছেন, খবর পেয়ে রাতেই মেদিনীপুর শহরে সুমিত্রার বাড়িতে গিয়েছিলেন ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। কিন্তু কুকুরকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের সুমিত্রা বলেন, কুকুরটি জলন্ত উনুনের পাশে বসেছিল। উনুনের জ্বলন্ত কাঠ ছিটকে লেগে প্রাণীর গায়ে আগুন লেগে যায়। সত্যিই কি তাই ঘটেছিল? পশুপ্রেমীদের দাবি, এমনটা হতেই পারে না। কারণ গায়ে যদি ছ্যাঁকা লাগত , সেক্ষেত্রে কুকুর সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পালিয়ে যেত। রাতে মৃত কুকুরটিকে নিয়ে কোতুয়ালি থানার যায় পশুপ্রেমী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্ত সুমিত্রা বেহারাকে গ্রেফতারের দাবি করেছেন তাঁরা। সারমেয়ের দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।