সংক্ষিপ্ত
বেশ কিছুদিন ধরেই বৃষ্টি থামছেনা। ফলে কোনওভাবেই প্রতিমার গায়ের কাদামাটি শুকোতে পারছেন না রায়গঞ্জের মৃৎশিল্পীরা।
লাগাতার অঝোর ধারায় বর্ষন (continuous rain) আর মেঘলা আকাশের (cloudy sky) জেরে কপালে চিন্তার ভাঁজ রায়গঞ্জের পটুয়া পাড়ায় (Potters)। সার সার প্রতিমা (Durga Puja) পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই বৃষ্টি থামছেনা। ফলে কোনওভাবেই প্রতিমার গায়ের কাদামাটি শুকোতে পারছেন না রায়গঞ্জের কুমোরটুলি কাঞ্চনপল্লী, সুভাষগঞ্জ সহ নানান এলাকার মৃৎশিল্পীরা।
কদিন পরেই রয়েছে বিশ্বকর্মা পুজো, আর তারপরেই রয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। এর মধ্যে প্রতিমা নির্মান আদৌ সম্পূর্ণ হবে কিনা তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রায়গঞ্জ তথা উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রতিমা শিল্পীরা।
গত বছর অতিমারি করোনার কারনে তেমনভাবে কোনও প্রতিমাই নির্মান ও বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেননি মৃৎশিল্পীরা। এবছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর কিছুটা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই পুজোর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন পূজো কমিটির কর্মকর্তারা।
ইতিমধ্যেই পটুয়া পাড়ায় প্রতিমা নির্মানের অর্ডারও এসে গিয়েছে। আর মাত্র কদিন বাদেই শিল্পের দেবতা বিশ্বকর্মা দেবের পুজো। কয়েক হাজার দেব বিশ্বকর্মার মূর্তি তৈরি করেছেন রায়গঞ্জের মৃৎশিল্পীরা। কিন্তু আজ প্রায় সাতদিন ধরে একটানা লাগাতার বর্ষন আর মেঘলা আকাশের কারনে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। আকাশে রোদের দেখা নেই। কিভাবে শুকোবেন কাদামাটির তৈরি প্রতিমা। পলিথিন দিয়ে সারাক্ষন ঢেকে রাখতে হচ্ছে সেই কাঁচা মূর্তি।
অন্যদিকে, মাত্র দেড়মাস বাকি আর বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের। বিশাল বিশাল আকারের সেই দুর্গা প্রতিমাও শুকোতে পারছেন না শিল্পীরা। কবে প্রতিমা রঙ করবেন আর কবেই বা শুকোবে প্রতিমার গায়ের রঙ, তা ভেবে উঠতে পারছেন না। এভাবে বর্ষন চলতে থাকলে মন্ডপে মন্ডপে পৌছানো সম্ভব হবে না কোনও প্রতিমাই। ফলে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন রায়গঞ্জের মৃৎশিল্পীরা।