সংক্ষিপ্ত
- ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উদ্যোগ
- হাওড়ায় জেটিঘাটে তৎপরতা প্রবল
- লঞ্চে পরানো হল বেড়ি
- ছুটি বাতিল কর্মীদের
ঘূর্ণিঝড় যশ (Cyclone yaas)-এর কারণে সবরকমের সতর্কতা গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ইতিমধ্যেই লাল সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন। বুধবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় যশ (Cyclone yaas)। আর সেই কারণেই হাওড়া জেটিঘাটে চরম সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গে আড়ছে পড়েছে রাজ্যে। সংক্রমণ রুখতে গোটা রাজ্যেই কঠোর লকডাউন চালু করা হয়েছে। ট্রেন ও বাসের সঙ্গে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ পরিষেবাও। আর সেই কারণে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগেই বেড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলা হল লঞ্চগুলিকে।
সোমবার সকাল থেকেই যথেষ্ট তৎপরতা দেখা গিয়েছিল হাওড়া লঞ্চঘাটে । পূর্বের ঝড়ের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকারি নির্দেশ অনুসারে একাধিক মোটা দড়ি ও মোটা শিকল দিয়ে জেটি ঘাট এর সঙ্গে লঞ্চগুলোকে বাধা, এমনকি একটি লঞ্চকে আরেকটি লঞ্চের সঙ্গেও বেঁধে রাখতে দেখা গেল । একইসঙ্গে জানা গিয়েছে লকডাউন এর কারণে বর্তমানে লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ থাকায় ছুটিতে ছিলেন সমস্ত কর্মীরা । কিন্তু ঘূর্ণিঝড় যশ আসার কারণে বাতিল করা হয়েছে তাদের ছুটি ।
ঝড়ের দিন লঞ্চ রক্ষণাবেক্ষণের গুরুদায়িত্বও রয়েছে নিরাপত্তা রক্ষীদের হাতে। এক একটি লঞ্চে সাতজন করে কর্মী থাকবেন নিরাপত্তার কারণে। কোন কারণে ঝড়ের দাপট বেশি থাকলে সেই মুহূর্তে ঝড়ের গতিপথ এর দিকে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে এক একটি লঞ্চ কে । এমনটাই জানানো হয়েছে সরকারি তরফে । সব মিলিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের যশের (Cyclone yaas) কারণে জল পরিবহনের নিরাপত্তা সমস্ত বিধি নিষেধ অনুসারে সুরক্ষার সমস্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে হাওড়া লঞ্চঘাটে ।