সংক্ষিপ্ত

এদিন নিজ দলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দরাজ প্রশংসা করতে দেখা যায় জয়প্রকাশ মজুমদারকে।

দল বিরোধী কার্যকলাপের জেরে কয়েকদিন আগেই খোদ বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (BJP state president Sukanta Majumder) কাছ থেকে শো-কজ নোটিশ পেয়েছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারি। যা নিয়ে গত দু-দিন ধরেই নানা চাপানউতর শোনা যাচ্ছে পদ্ম শিবিরের অন্দরে। কিন্তু শো-কজ নোটিশ পেয়ে দমে যাওয়ার পরিবর্তে এবার যেন আরও চাঁচাছোলা ভাষায় নিজ দলকেই আক্রমণ শানাতে দেখা গেল একদা কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা জয়প্রকাশ মজুমদারকে ( BJP Leader Jayaprakash Majumdar)। যা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন চর্চা। মঙ্গলবার ঘটা করে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন এই জয়প্রকাশ মজুমদারই। জয়প্রকাশের বিস্ফোরক অভিযোগ, ”বিধানসভা ভোটের ফল খারাপ কেন হল, এ নিয়ে দলীয় বৈঠকে কথা বলতে গেলেই চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।” যদিও তাঁর এই মন্তব্যের পর অর্জুন সিং বাদে আরও কোনো পদ্ম নেতাকেই বিশেষ মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। যদিও এদিন দিলীপ ঘোষের প্রতি খানিক সুর নরম করলেও নাম না করেই বিজেপির নব নিযুক্ত রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুদারের বিরুদ্ধে দফায় দফায় তোপ দাগেন জয়প্রকাশ।   

এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে জয়প্রকাশ মজুমদার আরও বলেন, “২ মে-বেলা ১২টার পর থেকেই বড় বড় নেতার নিষ্ক্রমণ শুরু হয়। বিকেল ৫টায়, গণনা শেষ হওয়ার আগেও আমি ছাড়া বিজেপির কোনও নেতা ছিলেন না। দিল্লি থেকে আসা নেতা, কিংবা এখানের তথাকথিত নেতারা ছিলেন না। ১১ জুন মুকুল রায় তৃণমূল ভবনে গিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। মুকুলের দলত্যাগের দিনও বিজেপির দফতরে গিয়ে মুখোমুখি হওয়ার সাহস কেউ দেখায়নি।দুশোরর জায়গায় যখন ৭৭-এ আমরা আটকে গেলাম, সেটা কেন হল, তার কোনও পর্যালোচনা হল না।” তবে এদিন নিজ দলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দরাজ প্রশংসা করতে দেখা যায় তাঁকে। যদিও এরপর তার তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা তীব্র হলে খানিক ধোঁয়াশা বজায় রেখেই জয়প্রকাশকে বলতে শোনা যায়, “এখনই কিছু ভাবছি না।” তবে বিজেপি-র আর এক ‘বিদ্রোহী’ নেতা রীতেশ তিওয়ারির সাফ বক্তব্য, “বিজেপিতে আছি. ছিলাম, থাকব।”

আরও পড়ুন-চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনে প্যাসেঞ্জার ট্রেনে আগুন, ৫০০ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে দায়ের FIR

আরও পড়ুন-একটি নয়, একসঙ্গে দুটি নয়া পালক ভারতের সোনার ছেলে নীরজের মুকুটে

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউজে মিটিংয়ের পর শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠক সেরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে দেখা যায় জয়প্রকাশ মজুমদারকে। সেখানে একাধিক মন্তব্য করেন তিনি। যে কারণেই দলীয় রোষের মুখে পড়েন তিনি। একইসঙ্গে ওই দিনের পরই শো-কজ নোটিশ ধরানো হয় রীতেশ তিওয়ারিকেও। সম্প্রতি রাজ্য কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করে। নতুন কমিটি থেকে বাদ পড়া একের পর এক নেতারা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। সেই তালিকায় ছিলেন এই দুই পদ্ম নেতাও।

আরও পড়ুন-জঙ্গি দমনে মৃত্যুবরণ করেছিলেন হাসিমুখে, মরণোত্তর অশোক চক্র পাচ্ছেন এই বীর পুলিশ কর্মী