সংক্ষিপ্ত
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ড শনিবার সকাল থেকেই কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ছিল ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর তাতেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্টের সন্ধান পেয়ে তাঁর কোচিং সেন্টারে হানা দেয় ইডি। তবে ফ্ল্যাটটি তল্লাশি চালিয়ে সিল করে দিয়েছে ইডি।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ড শনিবার সকাল থেকেই কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ছিল ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর তাতেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্টের সন্ধান পেয়ে তাঁর কোচিং সেন্টারে হানা দেয় ইডি। তবে ফ্ল্যাটটি তল্লাশি চালিয়ে সিল করে দিয়েছে ইডি। ফ্ল্যাটের মালিরক হিসেবে নথিভুক্ত রয়েছে বিভাস অধিকারীর নাম। তবে বিভাসে কোনও সন্ধান পায়নি ইডি। এদিন ইডির আধিকারিকরা ১৮, ডাক্তার কার্তিক বোস লেন বিভাসের ফ্ল্যাটে বড়সড় রহস্যের গন্ধ পেয়েছে।
ইডির অনুমান ফ্ল্যাটের মালিক বিভাস অধিকারী একটি কোচিং সেন্টার চালাতেন। এই ফ্ল্যাটেই চলত সেই সেন্টার। সেখানে স্কুল শিক্ষক হতে ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীই মোটা টাকার বিনিয়ম পড়তে আসত। তাদের অনেকেই টাকার বিনিয়ম চাকরি পেয়েছে বলেও অনুমান ইডির। বিভাস অধিকারী নামে ফ্ল্যাটের মালিকের মধ্যস্থতার এই ব্যবস্থা হত বলেও মনে করছে তদন্তকারী অধিকারিকরা। এই কোচিং সেন্টারের পাশাপাশি বিভাস একটি বিএড কলেজও চালাতেন। সেখানেও মোটা টাকার বিনিময় পড়ুয়া ভর্তি করা হত। পাশাপাশি চাকরি দেওয়ার নিশ্চিত প্রতিশ্রুতিও দিত কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এই ফ্ল্যাটের সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন কোচিং সেন্টার হলেও সেখানে প্রায়ই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আনাগোনা ছিল। তবে তারা মূলত রাতের দিকে কোচিং বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরই আসত। তাদের দেখে চাকরিপ্রার্থী বা পড়ুয়া মনে হত না বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের সঙ্গে থাকত বড় বড় লাগেজ ব্যাগ। পাশাপাশি বিভাসের সঙ্গে সশস্ত্র নিরাপত্তা রক্ষীও থাকত বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ইডি সূত্রের খবর বিভাস অধিকারির সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদেরর অপরাসিত চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের যোগাযোগ ছিল। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে যাওয়া আসাও ছিল তার। অর্থের বিনিয়ম চাকরি প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারে বিভাসই মানিকের সঙ্গে মধ্যস্থতা করত। চাকরি প্রার্থীদের থেকে টাকা নিয়ে বিভাস মানিক ও তাঁর সঙ্গীদের হাতে তুলে দিত বলেও অনুমান তদন্তকারীদের।
এদিন ইডির আধিকারিকরা শ্রীগোপাল মল্লিক লেনের একটি কোচিং সেন্টারে হানা দেয়। তারা দিয়েছিল মহিষবাথানের একটি ট্রেনিং সেন্টারেও। শ্রীগোপাল মল্লিক লেনের একটি কোচিং সেন্টার চলত একটি বহুতল। বহুতলের মালিক জানিয়েছেন, তাপস মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘ দিন ধরেই সেখানে কোচিং সেন্টার চালাতেন। কিন্তু সম্যার কারণে তাকে সেখান থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়। ইডির অনুমান মহিষবাথানের কোচিং সেন্টারটিও তাপস মণ্ডলের।
'পাকিস্তান বিশ্বের সবথেকে বিপজ্জন দেশ', রাশিয়া ও চিনের তীব্র সমালোচনা করে অবাক করা মন্তব্য বাইডেনের
ক্ষুধার রাজ্যে 'ভারত' গদ্যমান, গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স রিপোর্ট পেশ হতেই মোদীকে তোপ কংগ্রেসের