সংক্ষিপ্ত

  • বছর দশেক আগে অবসর নিয়েও দায়িত্ব ভুলে যাননি
  • আজও রাস্তার মোড়ে ট্রাফিক কন্ট্রোল করেন ভীম ছেত্রী
  • তাঁকে দেখে অনুপ্রেরণা পান অন্যান্য ট্রাফিক গার্ডরা
  • সত্তরোর্ধ এই মানুষটি হাসিমুখে পালন করেন নিজের দায়িত্ব

শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা বছরের যে কোনো সময়ে যদি রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড়ে যান, দেখবেন বয়সের ভারে ন্যুব্জ এক মানুষ হাসিমুখে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন করার কাজ করছেন। এই কাজে তার কোনো ক্লান্তি নেই।  ইনি রায়গঞ্জের এফসিআই মোড়ের বাসিন্দা, নাম ভীম ছেত্রী। 

চাকরী থেকে অবসর নেওয়ার পর অনেকেই যখন একাকী, নিঃসঙ্গতায় ভোগেন তখন তিয়াত্তর বছর বয়সেও হাসি মুখে বিনা পয়সায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন ভীম ছেত্রী। ২০১২ সালে করনদিঘী থানা থেকে এনভিএফ কর্মী হিসাবে অবসর নেন রায়গঞ্জের এফসিআই মোড়ের বাসিন্দা এই মানুষটি। 

২০১২ সালে করনদিঘী থানা থেকে এন ভি এফ কর্মী হিসাবে অবসর নেওয়ার পর রায়গঞ্জে চলে আসেন তিনি। মাঝের কিছুদিন সিকিউরিটি এজেন্সির মাধ্যমে বাড়ি বা ফ্ল্যাটে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেছেন। কিন্তু মন পড়েছিল অতীত কর্মজীবনের মধ্যেই। হঠাৎই একদিন হাতে বাঁশী ও খাঁকি উর্দি পড়েই নেমে পড়লেন রায়গঞ্জের রাস্তায় ট্রাফিক কন্ট্রোলে। প্রথম প্রথম ট্রাফিক পুলিশের অন্যান্য কর্মীরা অবাক হলেও এখন ভীমবাবুর কর্মতৎপরতায় তারাও মুগ্ধ।

ভীম ছেত্রী জানালেন অবসর সময়ে শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতেই এই কাজ করছেন তিনি। কাজের ফাঁকেই পাশের দোকানে সামান্য কিছু খাবার খেয়ে আবারো নেমে পড়েন যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের কাজে। ভীম বাবু বলেন, চাকরী থেকে ২০১২ সালে অবসর নিয়েছি। বাড়িতে বসে থাকতে ভালো লাগত না। অবসর জীবনে মানসিক ও শারীরিক দিক থেকে ভালো থাকার জন্যই স্বেচ্ছায় এই কাজ করছি। 

ভীমবাবুর এই কাজে খুশী পথ চলতি সাধারণ মানুষ। তাদের বক্তব্য করোনাকালে সকলে যখন গৃহবন্দী তখন মানুষের সুবিধার জন্য ভীমবাবুর এই কাজ দৃষ্টান্ত মূলক। অবসরকালীন জীবনকে তিনি যেভাবে উপভোগ করছেন তা দেখে ভালো লাগছে।