সংক্ষিপ্ত
দেশের অন্যতম ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্র হাজারদুয়ারি মিউজিয়াম প্যালেস চত্বর জুড়ে চরম পরিচর্যার অভাব স্পষ্ট। ঘন জঙ্গলে ছেয়ে গিয়েছে গোটা এলাকা।
ঐতিহাসিক পর্যটনকেন্দ্র (historic tourist center) হাজারদুয়ারি (Hazarduari) জুড়ে চরম অবহেলা, দায় এড়াচ্ছে কর্তৃপক্ষ! দেশের অন্যতম ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্র হাজারদুয়ারি মিউজিয়াম প্যালেস চত্বর জুড়ে চরম পরিচর্যার অভাব স্পষ্ট। ঘন জঙ্গলে ছেয়ে গিয়েছে গোটা এলাকা। অভিযোগ, ওই পর্যটন কেন্দ্রে নিত্য দিনের যে পরিচর্যা তা আর করা হয় না কর্তৃপক্ষের তরফে।
এই ব্যাপারে হাজারদুয়ারি মিউজিয়াম প্যালেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্ট অব আর্কিওলজিস্ট গৌতম হালদারের সঙ্গে বারে বারে যোগাযোগ করা হলেও লাভ হয়নি। কার্যত যাবতীয় দায় এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।
করোনা কালের প্রথম ঢেউয়ে গত বছর ১৫ মার্চ পর্যটকদের জন্য হাজারদুয়ারি পরিদর্শন বাতিল করে দেওয়া হয় । ওই পর্যটন কেন্দ্রটি টানা ১১১ দিন বন্ধ থাকার পর শর্ত সাপেক্ষে ফের ২০২০ সালের ৬ জুলাই সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু অতিমারীর দ্বিতীয় পর্যায়ে চলতি বছরে ফের ১৫ জুলাই থেকে হাজারদুয়ারি বন্ধ হয়। প্রশ্ন উঠেছে তাসত্ত্বেও ঐতিহাসিকভাবে প্রসিদ্ধ দেশের অন্যতম মিউজিয়াম কীভাবে অবহেলা আর অনাদরে পড়ে থাকে। আর তাতে ভর করে হাজারদুয়ারি চত্বর পরিবেশ দূষণকারী পার্থেনিয়াম ও আগাছার গভীর জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
অথচ প্রতিবছর দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে কেন্দ্র সরকারের আর্কিওলজি দপ্তর। এই ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা দেলাবর হোসেন,সুজয় সাহাদের দাবি, “হাজারদুয়ারি মিউজিয়াম থেকে কেন্দ্র সরকার বৈদেশিক মুদ্রা লাভ করলেও ওই প্রাসাদের সংস্কার ও উন্নয়নে তেমন কোনও পদক্ষেপ করতে দেখা যায় না। আবার দেশ বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করতেও তাদের কোন রকম পরিকল্পনা নেই। ফলে করোনা আবহে হাজারদুয়ারি চত্বর জঙ্গলে মুখ ঢাকবে এটাই স্বাভাবিক।”
এদিকে মুর্শিদাবাদ হেরিটেজ অ্যান্ড কালচারাল ডেভলপমেন্ট সোসাইটির সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলেন,করোনা পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে হাজারদুয়ারি চত্বর পরিচর্যার অভাবে ঘন জঙ্গলে ভরে উঠবে তা মেনে নেওয়া যায় না।