সংক্ষিপ্ত

  • ফের সানস্ট্রোকের বলি রাজ্যে
  • বারুইপুরে মৃত ৬৫ বছরের বৃদ্ধের
  • খোঁজ পায়নি পরিবার, থানায় মিসিং ডায়েরি
  • শেষ পর্যন্ত ফেসবুকের মাধ্যমে হাসপাতালে যোগাযোগ

দু' দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন বৃদ্ধ। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাঁর হদিশ পাননি পরিবারের সদস্যরা। শেষ পর্যন্ত ফেসবুকের মাধ্যমে তাঁরা জানলেন, সানস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। 

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম শেখ নূর মহম্মদ। বছর পয়ষট্টির ওই ব্যক্তি দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার মগরাহাটের বাসিন্দা রবিবার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বারুইপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য। কিন্তু সেই আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার পথে তীব্র গরমে মাঝপথেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি৷ পথ চলতি মানুষজন তাঁকে উদ্ধার করে ভর্তি করেন বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে৷ সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। 

কিন্তু এসবের কিছুই জানতে পারেনি বৃদ্ধের পরিবার। অন্যদিকে বৃদ্ধের পরিচয় না পেয়ে জয়ন্ত রায় নামে এক ব্যক্তি ওই বৃদ্ধের ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন। ফেসবুকে জয়ন্তবাবু লেখেন, "এই ব্যক্তিকে রাস্তায় পাওয়া গিয়েছে। বারুইপুর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। কেউ চিনলে হাসপাতালে জানাবেন।"

প্রায় দুদিন নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে বছর পঁয়ষট্টির বৃদ্ধকে খুঁজে পেলেন পরিবারের সদস্যরা। যদিও প্রচণ্ড গরমে দু' দিন আগেই শেখ নূর মহম্মদ নামে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সকালে বারুইপুর হাসপাতালে এসে দেহ শনাক্ত করেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।

সোমবার ফেসবুক ঘাঁটতে গিয়ে সেই পোস্ট দেখতে পান বৄদ্ধের জামাই নিজামুদ্দিন গাজি৷ সেই সুত্র ধরে মঙ্গলবার সকালে বারুইপুর হাসপাতালে এসে তাঁরা খোঁজখবর শুরু করেন৷ হাসপাতালের তরফে তাঁদের জানানো হয়, রবিবার হাসপাতালে নিয়ে আসার পরেই নূর মহম্মদের মৃত্যু হয়েছে।  চিকিৎসকরা জানান, প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় পড়েছিলেন তিনি। তাঁর জেরেই মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধে। নূর মহম্মদের দেহ শনাক্তও করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। 

মগরাহাট থানা এলাকার উত্তর বিলন্দরপুর এলাকার বাড়ি থেকে রবিবার সকাল ন’টা নাগাদ বেরিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ৷ আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার কথা থাকলেও রাত পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ না পেয়ে থানায় মিসিং ডায়েরি করেন পরিবারের সদস্যরা৷ অবশেষে এ দিন মৃত নূর মহম্মদের খোঁজ পেলেন তাঁর বাড়ির লোকরা। মঙ্গলবার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

গত কয়েকদিন ধরেই গরমের দাপট ধীরে ধীরে বাড়ছে। আগামী কয়েকদিনেও পরিস্থিতি বদলানোর বিশেষ সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ফলে, জুন মাসে যখন বর্ষা আসার কথা, সেই সময়ও প্রবল গরমে কাহিল হয়ে পড়ছেন মানুষ।