সংক্ষিপ্ত
কৃষি আইন প্রত্যাহার (Farm Laws Repealed), মোদী সরকারের (Modi Govt) ভাবমূর্তির চরম ক্ষতি করেছে। এবার, পাল্টা প্রচারে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামল বিজেপি (BJP)।
দীর্ঘ টালবাহানার পর শুক্রবার, গুরু নানকের জন্মদিবসের দিনই মোদী সরকার (Modi Govt) তাদেরই আনা তিনটি নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার (Farm Laws Repealed) করার ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। ২০২০ সালের অগাস্ট থেকে দিল্লি সীমান্তে অবস্থান করছিলেন লক্ষ লক্ষ কৃষক। তাদের আন্দোলনের (Farmers Movement) জয় হয়েছে। সেই সঙ্গে মোদী সরকারের ভাবমূর্তির যে চরম ক্ষতি হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। সোশ্যাল মিডিয়া ভরে গিয়েছে মোদী সরকারকে নিয়ে রসিকতায়। এবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামল বিজেপি (BJP)।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্টা নরেন্দ্র মোদী সরকারের জনদরদী নীতিসমূহের প্রচার শুরু করল তারা। এদিন বঙ্গ বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এরকম দুটি প্রচার দেখা গেল। একটি 'প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-শহর' (Pradhan Mantri Awas Yojna-Urban)এর, অপরটি, 'কৃষক কল্যান' সম্পর্কিত।
EjA h[]gv -Farm Laws Repealed: আনন্দে ধান ঝাড়তে নেমে পড়লেন TMC মন্ত্রী, কী বললেন সিঙ্গুরের বেচারাম
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PMAY), দরিদ্রদের জন্য ঘর নিশ্চিত করেছে মোদী সরকার, এমনই দাবি করেছে বঙ্গ বিজেপি। এই প্রকল্পের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়ে তারা তুলে ধরেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানানো হয়েছে, ১.১৪ কোটিরও বেশি বাড়ি মঞ্জুর করা হয়েছে এই সরকারি প্রকল্পে। ৮৯ লক্ষ বাড়ির জন্য জমি নেওয়া হয়েছে। ৫১.৯৭ লক্ষ ঘরবাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এই প্রকল্পে মোট ৭.৫২ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করেছে মোদী সরকার।
রাজ্য বিজেপির পরের প্রচারটি সেই কৃষকদের নিয়েই, যারা মোদী সরকারকে প্রথমবারের মতো ব্যাকফুট ঠেলে দিয়েছে। বিজেপির দাবি, 'মোদি সরকার কৃষকদের কল্যাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোভিড-১৯ সত্ত্বেও কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পণ্যের রপ্তানি ক্রমাগত বাড়ছে।' সঙ্গে পোস্ট করা ইনফোগ্রাফিক্সে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবরের ত্রৈমাসিকে যেখানে কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের রফতানি ছিল ১০,১৫৭ মিলিয়ন ডলারের, সেখানে ২০২১ সালের ওই একই ত্রৈমাসিকে কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের রফতানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১,৬৫১ ডলারে। তবে এই তথ্যের সূত্র উল্লেখ করা হয়নি।
তবে, শুক্রবারের পর, এই ধরণের মোদী সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের প্রচারে কতটা ড্যামেজ কন্ট্রোল সম্ভব, তাই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায়, বিভিন্ন ব্যঙ্গচিত্র যেভাবে ভাইরাল হচ্ছে, সেই সব ছবির ভিড়ে, মানুষের কাছে বিজেপির এই প্রচারমূলক ইনফোগ্রাফিক্সগুলি পৌঁছন বেশ কঠিন। এখনও পর্যন্ত বিজেপির পেজে এই প্রচারগুলির নিচে কিন্তু ব্যঙ্গাত্বক মন্তব্যই দেখা গিয়েছে।