সংক্ষিপ্ত
- অবশেষে ভাঙাজোড়া একটি রাস্তা পাকা হতে চলেছে
- রাস্তা গড়ার উদ্যোক্তা হুগলি জেলা হ্যান্ডলুম বিভাগ
- আড়াইশো বছর পরে একটা গ্রামে পাকা রাস্তা !
সময় লাগলো প্রায় আড়াইশো বছর । অবশেষে ভাঙাজোড়া একটি রাস্তা পাকা হতে চলেছে । আর দীর্ঘ ১.৩ কিলোমিটার রাস্তা গড়ার উদ্যোক্তা হুগলি জেলা হ্যান্ডলুম বিভাগ । জেলা পরিষদ বা পূর্ত দফতর সাধারণত এই সমস্ত রাস্তাঘাট তৈরির দায়িত্ব নেয় । কিন্তু এই প্রথম অন্য কোনও দফতর এই ধরনের প্রকল্প নিল। আড়াইশো বছর পরে একটা গ্রামে পাকা রাস্তা ! ভাবলেই বিস্মিত হচ্ছে মানুষ।
বাম আমলে শুধু মোরাম ছিল । জায়গাটি হুগলি জেলায় ভাগীরথীর তীরে ইতিহাস প্রসিদ্ধ গুপ্তিপাড়া । এখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ইতিহাস , নানান স্থাপত্য । প্রচুর পর্যটক যার টানে এখানে ভিড় জমান । এই রাস্তাটি তৈরি করতে খরচ হচ্ছে ৪৪ লাখ ১২ হাজার টাকা । আর এই রাস্তাতেই রয়েছে বিখ্যাত দেবী বিন্ধ্যবাসিনীর মন্দির । বাংলার প্রথম বারোয়ারি পূজার উৎপত্তি স্থল ।
কথিত আছে , সেখানকার বাড়িতে দুর্গাপূজায় ঢুকতে না পেরে ১২ জন যুবক অর্থাৎ ১২ ইয়ার মিলে বিন্ধ্যবাসিনী দেবীর পূজার প্রচলন করেন । সেই থেকে প্রচলন শুরু বারোয়ারি শব্দের । প্রায় আড়াই দশকের আগেকার ঘটনা । আর সেই ঐতিহ্যশালী মন্দির এই রাস্তাতেই পড়ে । হুগলি জেলার হ্যান্ডলুম আধিকারিক কল্যাণ ভট্টাচার্য জানান , এই এলাকায় প্রচুর মানুষ তাঁতি । আমাদের দফতরের তরফ থেকে এই সমস্ত তাঁতিদের তাঁত ও অন্যান্য সরঞ্জাম দেওয়া হয় ।
তন্তুবায়দের এলাকা উন্নয়নের যে ফান্ড সেখান থেকেই এই প্রকল্পের অর্থ দেওয়া হচ্ছে । তবে দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসানের নেপথ্যে যে মানুষটি , তাঁর নাম হচ্ছে বিশ্বজিৎ নাগ । এই তরুণ যুবক বর্তমানে গুপ্তিপাড়া পর্যটন উন্নয়ন কমিটির সম্পাদক । মূলত তাঁরই দীর্ঘদিনের চেষ্টায় এই রাস্তা । তাঁর কথায় বিন্ধ্যবাসিনীর মন্দির যেতে আর ধুলো ওড়া মেঠো পথ দিয়ে যেতে হবে না । এই রাস্তা তৈরি হয়ে গেলে পর্যটকদের বিশাল সুবিধা হবে । এই রাস্তাটির নাম হোক বিন্ধ্যবাসিনী সড়ক । ইতিমধ্যেই গ্রামবাসীরা এই দাবি তুলেছেন ।