সংক্ষিপ্ত
- হায়দরাবাদ ধর্ষণকাণ্ডের ছায়া এবার বর্ধমানের গুসকরায়
- জোর করে মহিলাকে ট্রাকে তুলে পালাল চালক
- বাধা দিতে গেলে সিভিক ভলেন্টিয়ারকে ধাক্কা মেরে চলে যায়
- সিমেন্ট ভর্তি লরিতে মহিলাকে নিয়ে ছোটে অভিযুক্ত
হায়দরাবাদ ধর্ষণকাণ্ডের ছায়া এবার বর্ধমানের গুসকরায়। জোর করে মহিলাকে ট্রাকে তুলে পালাল চালক। বাধা দিতে গেলে সিভিক ভলেন্টিয়ারকে ধাক্কা মেরে চলে যায় সে। সিমেন্ট ভর্তি লরিতে প্রায় ১৭ কিলোমিটার মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে নিয়ে ছোটে অভিযুক্ত।
একেবারে অবিকল একই ধরনের চিত্রনাট্য । টোল প্লাজার সামনে মহিলাকে দেখে লোলুপ দৃষ্টি পড়ে ট্রাক চালকের। দেরি না করে সিমেন্ট ভর্তি লরিতে মহিলাকে জোর করে তুলে নিল চালক। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় এ যাত্রায় বেঁচে গেলেন মহিলা। তবে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ওই মানসিক ভারসাম্যহীনকে। পূর্ব বর্ধমানের ঘটনা দেখিয়ে দিল, সচেতন না হলে এ রাজ্যেও ঘটতে পারে হায়দরাবাদের ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে একটি ট্রাকের চালক মাঝ বয়সী মহিলাকে তুলে নিয়ে চলে যায়। সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকে তোলার সময় একজন কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার তাকে বাধা দেয়। কিন্তু ট্রাক চালক সিভিক ভলান্টিয়ার বিকাশ গড়াইকে ধাক্কা মেরে ট্রাকে মহিলাকে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে আউশগ্রামের গুসকরায়। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলাকে ঘটনার দিন রাতে শিরিষতলা পৌরসভার টোল ট্যাক্সের কাছে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। অভিয়ুক্ত জানিয়েছে, রাত প্রায় সাড়ে ১২ টা
নাগাদ মহিলাকে একা পেয়ে ট্রাকের মধ্যে তুলে নেয় সে।
কিন্তু পুলিসের কাছে খবর যেতেই লরির পিছু ধাওয়া করে কর্তব্যরত ভ্য়ান। প্রায় ১৭কিলোমিটার ধাওয়া করে মানকর রোডের অভিরামপুরের কাছে ট্রাকটিকে ধরে ফেলে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় আটক মহিলাকে। অভিযুক্ত ট্রাকচালক আবুল শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে এদিন বর্ধমান আদালতে তোলা হয়েছে। পুলিসি জেরায় ধৃত জানিয়েছে,তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের কুলসোনা গ্রামে। মুর্শিদাবাদ থেকে সিমেন্ট বোঝাই করে দুর্গাপুর যাচ্ছিল সে।