সংক্ষিপ্ত
সরকারি আধিকারিক ও ঠিকাদারের গোপন অশুভ আঁতাত প্রকাশ্যে আসতেই চূড়ান্ত জনরোষ দেখা দিয়েছে মুর্শিদাবাদের মহিসাস্থালি এলাকায়। আর এই পরিস্থিতি ধামাচাপা দিতেই তড়িঘড়ি সক্রিয় হয়ে উঠেছে একদল আমলা।
সরকারি কাজে (Govt Project) টাকা তছরূপের অভিযোগ। আধিকারিকদের ও ঠিকাদারের গোপন
আঁতাত ফাঁস। এই কাণ্ডে এলাকা জুড়ে জনরোষ তৈরি হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত ফাঁস হয়ে গেল সংস্কারের নামে সরকারি টাকা তছরুপের কান্ড! আর এতেই রীতিমতো একদল সরকারি আধিকারিক (Govt Official) ও ঠিকাদারের (constructor) গোপন অশুভ আঁতাত প্রকাশ্যে আসতেই চূড়ান্ত জনরোষ দেখা দিয়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) মহিসাস্থালি এলাকায়।
আর এই পরিস্থিতি ধামাচাপা দিতেই তড়িঘড়ি সক্রিয় হয়ে উঠেছে একদল আমলা। চা নিয়ে তুমুল সমালোচনার ঝড় উঠছে সব মহলে। এই ব্যাপারে স্থানীয় বিডিও বলেন, “এই রকম একটি অভিযোগ আমি পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত করতে সরজমিনে ইঞ্জিনিয়ারকে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ প্রমান হলে নিশ্চয়ই পদক্ষেপ করা হবে"।
মহিষাস্থলী এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সুন্দর ও উপযোগী করে তুলতে এলাকার ১৬টি রাস্তা ঢালাই করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেই মত গ্রাম পঞ্চায়েত ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি টেন্ডার করে। ওই ১৬টি রাস্তার মধ্যে রমনা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সোহরাবের বাড়ি থেকে ডালিমের বাড়ি পর্যন্ত ২০০ মিটার রাস্তা ঢালাইয়ের জন্য বরাদ্দ হয় মোট ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। ওই রাস্তাটি ঢালাই করার জন্য এলাকার বাসিন্দা তথা ঠিকাদার সাদরুল শেখ বরাত পান। ইতিমধ্যে অন্যান্য রাস্তাগুলি ঢালাই হয়ে গেলেও কুলগাছি থেকে রমনা হয়ে ভগবানগোলা যেতে পিচ রাস্তায় ওঠার আগে রমনা এলাকার রাস্তাটি সেই কাঁচাই থেকে যায়।
এতেই বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা পঞ্চায়েতে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখতেই চক্ষু চড়ক গাছে ওঠে। রাস্তাটি আজও চলাচলের অযোগ্য থাকলেও খাতা কলমে দেখা যাচ্ছে রাস্তাটি ঢালাই হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পঞ্চায়েতকে অন্ধকারে রেখে কি ভাবে এই কাজ সম্ভব জানাতে চাওয়া হলে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান যমুনা রবিদাস বলেন, “এসবের আমি কিছু জানি না। তবে এই রকম খবর শুনে বিডিও সাহেবকে বিস্তারিত জানিয়েছি।”
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা রাফিকুল শেখ, সম্রাট আলী, টিয়ারুল শেখ বলেন,”সরকারি আধিকারিকদের যোগ সাজসেই এই কাজ করেছেন ঠিকাদার।আমরা চাইছি তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, যাতে এত বড় দুর্নীতি করার সাহস কেউ না পান। আর আমাদের রাস্তাটিও ঢালাই করে দেওয়া হোক।” তবে ঠিকাদার সাদরুল শেখ বলেন,পঞ্চায়েতের টেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শে ওই রাস্তার পরিবর্তে অন্য একটি রাস্তা ঢালাই করে দিয়েছি।