সংক্ষিপ্ত
ঠিক কী কারণে এতবড় দুর্ঘটনা ঘটল তা এখনও পরিষ্কার নয়। অন্যদিকে ঘটনার আসল কারণ জানতে ইতিমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল।
উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ল ১৫৩৬৬ আপ পাটনা-গুয়াহাটি বিকানের এক্সপ্রেস। বৃহঃস্পতিবার বিকালে শিলিগুড়ির কাছে ময়নাগুড়িতে (Maynaguri in Siliguri) উল্টে গেল বিকানের এক্সপ্রেসের (Guwahati-Bikaner Express Accident) ১২টি বগি। এদিন বিকেল ৫টা নাগাদ ঘটে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত অকুস্থল থেকে ৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর। তাদের মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে (Jalpaiguri District Hospital) ২৪ জনকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ১৬ জনকে পাঠানো হয়েছে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে(Maynaguri Hospital)। এদিকে আহতদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে। তবে ঠিক কী কারণে এতবড় দুর্ঘটনা ঘটল তা এখনও পরিষ্কার নয়। অন্যদিকে ঘটনার আসল কারণ জানতে ইতিমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের (High level investigation by Indian Railway ) নির্দেশ দিয়েছে রেল। তবে সূত্রে খবর ৭০০-র বেশি যাত্রী নিয়ে পাটনা থেকে গুহায়াটির উদ্দেশ্য যাচ্ছিল ট্রেনটি।
এদিকে মূল গন্তব্যে পৌঁছাকে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা সফর করার কথা ছিল ট্রেনটির। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী বিকানের থেকে ৭০০ লোক উঠলেও ট্রেনটি মাঝে আরও একাধিক স্টেশনে থামে। সেখান থেকেও যাত্রীরা ট্রেনে ওঠে। আসল যাত্রীদের সংখ্যা জানা না গেলেও তা যে বাস্তবিক ভাবেই আরও বেশি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও রেলের তরফে অফিসিয়ালি যাত্রী সংখ্যা নিয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে রেল লাইনের সমস্যা নাকি চালকের সমস্যা নাকি নাশকতার কারণে এমনটা ঘটল তা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন- আশঙ্কা সত্যি করে গঙ্গাসাগরই কী হচ্ছে সুপার স্প্রেডার, ভিড় বাড়াচ্ছে চিন্তা
ইতিমধ্যেই তদন্তের জন্য রেলের তরফে তৈরি করা হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। তবে এই ক্ষেত্রে মূলত দুটি জিনিসের সম্ভাবনার কথা বলছেন রেল কর্তারা। প্রাথমিক অভিঘাত দেখে মনে করা হচ্ছে খুব সম্ভবত ট্র্যাকের সমস্যার জন্য ঘটেছে দুর্ঘটনা। ফিসপ্লেট খোলা বা ওই জাতীয় কোনও জিনিস ঘটেছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি রেল ইঞ্জিয়ানিয়াররা এই জায়গায় ঠিক মতো কাজ করেছিলেন কিনা সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। সবমিলিয়ে জোরালো হচ্ছে নাশকতার সম্ভাবনাও।
আরও পড়ুন- গঙ্গাসাগরে চওড়া হচ্ছে করোনার থাবা, আক্রান্ত মেলার দায়িত্বে থাকা ৫ চিকিৎসক
এদিকে যে জায়গায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটি আদপে দুটি স্টেশনের মাঝের একটি অংশ। সহজ ভাবে দেখলে ওকানে সিগন্যাল বার বা ওই জাতীয় কিছু ছিলনা। আর সেখান থেকেই বাদ বড়ছে সিগন্যালের সমস্যার জন্য দুর্ঘটনার তত্ত্ব। আর ঠিক সেই কারণেই রেল ট্র্যাকের সমস্যার উপরেই সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। এদিকে ট্র্যাকের দেখভালের জন্য সাধারণত দায়িত্বে থাকেন ট্র্যাক ম্যানেরা। তারা ওই এলাকায় শেষ কবে কাজ করেছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে লগবুক। তাদের গাফিলতিতেই এই দুর্ঘটনা কিনা তাও খতিয়ে দেখছে রেল। এদিকে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে জারি জরুরি সতর্কতা। অর্থপেডিক বিভাগ ও সার্জারি বিভাগকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। একাধিক বড় স্টেশনে খোলা হয়েছে রেলের কন্ট্রোল রুম, এমনটাই সূত্রের খবর।