সংক্ষিপ্ত

রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, শুধু SSC, গ্রুপ সি আর গ্রুপ ডি মিলে ১০,০০০এর বেশি বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। হাইকোর্ট যা বলেছে সবারই মানা উচিত। এরা সব টাকার বিনিময়ে ঢুকেছেন।

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার ওএমআর শিটের হদিশ মিলছে না। জানা গিয়েছে, ২০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে প্রায় ১২ লক্ষ মত। বাকি ওএমআর শিট কোথায় গেল বা আদৌ তা নষ্ট করা হয়েছে কিনা তার জবাব দিতে পারেনি পর্ষদ। বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘ওএমআর শিট নষ্টের বিষয়ে পর্ষদের ভূমিকা সন্দেহজনক ও ঢিলেঢালা, সাংবিধানিক সংস্থার কাছে এই ভূমিকা প্রত্যাশিত নয়’, রিপোর্ট দেখে মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এফআইআর দায়ের করবে সিবিআই’। 

এই নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘শুধু SSC, গ্রুপ সি আর গ্রুপ ডি মিলে ১০,০০০এর বেশি বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। হাইকোর্ট যা বলেছে সবারই মানা উচিত। এরা সব টাকার বিনিময়ে ঢুকেছেন। সেই টাকাগুলো ফেরত নিন। নেতাদের বাড়িতে, দালালদের বাড়িতে যান। টাকা কী করে ফেরত হবে সেটা ওরা বুঝবে। মালের দায়িত্ব আরোহীর’।

নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি তথ্য প্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন আইন মেনেই কি নষ্ট করা হয়েছিল ২০১৪ সালের টেটের ওএমআর শিট। তত্য অধিকার আইন, ২০০৫ অনুযায়ী  কোনও সরকারি নথি অন্তত ২০ বছর সংরক্ষিত করে রাখতে হয়। ফলে এক্ষেত্রে পরীক্ষা নেওয়ার দু এক বছর না পেরোতেই কীকরে তা নষ্ট করা হল, প্রশ্ন তোলা হয়েছে। 

এদিকে, ওএমআর শিট যদি নষ্ট করাও হয়ে থাকে তাহলে তার নির্দেশ কে দিল সে বিষয়েও জানতে চেয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে কার কার উত্তরপত্র নষ্ট হয়েছে তারও জবাব দিতে পারেনি পর্ষদ। এই বিষয়ে আরও খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার রাত আটটার মধ্যে মানিক ভট্টাচার্যকে সিবিআই তলব করা হয়েছে। যদি তিনি হাজিরা না দেন সেক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে পারে সিবিআই। এমনকি তদন্তের স্বার্থে মানিককে সিবিআই হেফাজতে রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

এদিন SSC নিয়োগ দুর্নীতির ফরেন্সিক রিপোর্ট আদালতে পেশ হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, পরীক্ষায় সাদা খাতা জমা দিয়েও ৫৩ পেয়েছেন এক প্রার্থী। এরকম একাধিক উদাহরণ উঠে এসেছে ফরেন্সিক তদন্তে।