সংক্ষিপ্ত
- ভাটাপাড়া পুরসভায় আস্থাভোট সংক্রান্ত মামলা
- ডিভিশন বেঞ্চে রায়ে স্বস্তিতে তৃণমূল
- সিঙ্গল বেঞ্চে খারিজ হয়ে যায় অনাস্থা প্রস্তাব ও ভোটাভুটি
- ডিভিশন বেঞ্চে পাল্টা মামলা তৃণমূল কাউন্সিলদের
ভাটপাড়া পুরসভায় ফের আস্থা ভোটের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুরে ১ টায় পুলিশি নিরাপত্তায় ভোটাভুটি হবে পুরসভার মূল ভবনে। আস্থা ভোট নিয়ে কাউন্সিলরদের নোটিস পাঠাতে হবে খোদ চেয়াম্যান ও জেলাশাসককে। তেমনই নির্দেশ দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
বিজেপিতে যোগ দেন ২৯ জন তৃণমূল কাউন্সিলর,লোকসভা ভোটের পর পালাবদল ঘটে ভাটপাড়া পুরসভায়। আস্থা ভোটে জিতে পুরসভার ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। কিন্তু কয়েক মাস আগে ১২ জন কাউন্সিলর দলে ফেরার পর, ভাটপাড়া পুরসভা পুর্নদখলের পরিকল্পনা করে তৃণমূল। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন দলের তিনজন কাউন্সিলর। অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটিও হয়ে যায় গত বৃহস্পতিবার। শুধু তাই নয়, বিপুল ব্যবধানে আস্থা ভোটে জিতে পুরসভার পুর্নদখল করার কথা ঘোষণা করে দেয় তৃণমূল। এদিকে ভাটপাড়া পুরসভায় বেআইনিভাবে আস্থা ভোট করানোর অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। দলের কোনও কাউন্সিলর ভোটাভুটিতেও অংশ নেননি। যেদিন আস্থা ভোট হয়, সেদিন অনাস্থা প্রস্তাব ও ভোটাভুটি খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন ভাটপাড়া পুরসভার তিনজন তৃণমূল কাউন্সিলর।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানো হোক মমতা-কে, সুপ্রিম কোর্টে হল চাঞ্চল্যকর আবেদন
বিজেপি-এর দাবি ছিল, চেয়ারম্যান নিজেই ২০ জানুয়ারি সভা ডেকেছিলেন। কিন্তু তার আগে বেআইনিভাবে সভা ডেকে অনাস্থা প্রস্তাব পাস করিয়ে নিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানিতে শাসকদলের কাউন্সিলরদের আইনজীবী বলেন, ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান ৬ ডিসেম্বর নোটিস জারি করে ২০ জানুয়ারি আস্থা ভোটের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু আইন অনুসারে, নোটিস জারির ১৫ দিনের মধ্যে আস্থা ভোট করাতে হয়। প্রয়োজনে সাত দিনের মধ্যে আস্থা ভোট করাতে পারেন ভাইস চেয়ারম্যানও। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনটাই হয়নি। তাই তৃণমূল কাউন্সিলরাই সভা ডেকে অনাস্থা প্রস্তাব পাস করিয়ে নিয়েছেন এবং ভোটাভুটিও হয়েছে। এই যুক্তিকে মান্যতা দিয়েই ভাটপাড়া পুরসভায় আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ফের আস্থা ভোটের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি প্রতীক প্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। গত বৃহস্পতিবার ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। সে আস্থাভোটের পর যাই হোক না কেন।' ডিভিশন বেঞ্চের আরও বক্তব্য,' আস্থা ভোটের নোটিস জারির একমাস পর আর ভোটাভুটি করানো যায় না। তাহলে তো নোটিস জারির এক বছরের পরেও কেউ ভোটাভুটি করাতে পারে।' উল্লেখ্য, ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা প্রস্তাব সংক্রান্ত বৈঠকে খোদ জেলাশাসককে উপস্থিত থাকার ও আগামী বৃহস্পতিবার আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।