সংক্ষিপ্ত
- রাজ্যে অসংগঠিত শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে নয়া প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- প্রচেষ্টা' নামে এই প্রকল্পে শ্রমিকদের ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে
- প্রতি পরিবারের একজনই আবেদন করতে পারবেন
- বিধবাভাতা, বার্ধক্যভাতা যারা পেয়ে থাকেন তারা এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন না
সারা দেশ জুড়ে করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে। যার জেরে নাজেহাল বিশ্ববাসী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সারা বিশ্বে লকডাউনের ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। এই লকডাউন চলাকালীন সকলেই ঘরবন্দি। করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে রাজ্যে অসংগঠিত শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে নয়া প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'প্রচেষ্টা' নামে এই প্রকল্পে শ্রমিকদের ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। গতকালই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে নবান্নে। নয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ মে-র মধ্যে অসংগঠিত শ্রমিকরা সাহায্যের আবেদন জানাতে পারবেন।
আরও পড়ুন-করোনা আতঙ্কে মাঝেই দলবদল, বাঁকুড়ায় ধাক্কা খেল পদ্মশিবির...
বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়েছে প্রতি পরিবারের একজনই আবেদন করতে পারবেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, যারা ইতিমধ্যেই অন্য কোনও সরকারি প্রকল্প যেমন বিধবাভাতা, বার্ধক্যভাতা পেয়ে থাকেন, তারা এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন না। এছাড়া, যে সমস্ত ব্যক্তিরা বিশেষভাবে সক্ষম এবং রাজ্য সরকারের তরফে তাদের যে ভাতা দেওয়া হয়, তারাও এই প্রকল্পের আওতায় পড়বেন না।
আরও পড়ুন-করোনা সচেতনতার বার্তা, রায়গঞ্জে মাস্ক পরেই পুজো নিলেন মা কালী...
লকডাউন চলাকালীন কীভাবে, কোথায় আবেদন করবেন? প্রত্যেক জেলার ক্ষেত্রে এই প্রকল্পের আওতায় যারা পড়েন, তারা আবেদনপত্রটি জেলাশাসকের কাছে জমা দেবেন। প্রত্যেক জেলায় ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনপত্রটি খতিয়ে দেখবেন। যে আবেদন করবেন সেই আবেদনকারীর এই প্রকল্পের টাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কিনা, সেব্যাপারে বিডিও ও এসডিওর থেকে খোঁজখবর নেবেন। কলকাতা পুরসভার ক্ষেত্রে কমিশনারের কাছে আবেদনপত্র জমা করা যাবে। তারপর আবেদনের ভিত্তিতে টাকা দেওয়া হবে। কলকাতা পুরসভা এলাকাগুলিতে আবেদনপত্র খতিয়ে দেখবেন কেএমসি-র কমিশনার। আবেদনের সত্যতা যাচাইয়ের পরই টাকা দেওয়া হবে। লকডাউনে খেটে খাওয়া মানুষের সাহায্যের জন্য এই প্রকল্প আনা হয়েছে।