সংক্ষিপ্ত
পয়গম্বর বিতর্কে হিংসার অভিযোগে গ্রেফতারের পর উলুবেড়িয়ার জেলের ভিতরের মৃত্য়ু হল এক বিচারাধীন বিজেপি কর্মীর। অনিমা দাসের অভিযোগ, গত ১৩ জুন তিনি যখন শ্রীকান্তের সঙ্গে দেখা করতে জেলে গিয়েছিলেন, তখনই স্বামী তাঁকে পুলিশি অত্যাচারের কথা বলেন। এমনকি তাঁরা যখন হাসপাতালে শ্রীকান্তের দেহ সনাক্ত করতে যান, তখন তাঁর শরীরে আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ।
বিচারাধীন অবস্থায় জেলের ভিতরের মৃত্য়ু হল বিজেপি কর্মীর। পয়গম্বর বিতর্কে হিংসার অভিযোগে গ্রেফতারের পর উলুবেড়িয়ার জেলের ভিতরের মৃত্য়ু হল এক বিচারাধীন বিজেপি কর্মীর। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের বিতর্কিত পরিস্থিতির মাঝেই শ্রীকান্ত নামের ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে চাঞল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, শ্রীকান্ত রায় নামের ওই বিজেপি কর্মী উলুবেড়িয়ার উপ সংশোধনাগারে ছিলেন।
শ্রীকান্ত বাউরিয়া থানার পশ্চিম বুড়িখালির এলাকার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, পয়গম্বর বিতর্কে হিংসার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে শ্রীকান্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। হাওড়ার হিংসায় যুক্ত থাকার অভিযোগে বাউরিয়া থানার পুলিশ বিজেপি কর্মী শ্রীকান্ত রায়কে গ্রেফতার করে। এরপর আদালতের নির্দেশে তাঁকে জেলে পাঠানো হয়েছিল। এদিকে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় মঙ্গলবার জেলের ভিতরেই মৃত্যু হয় তাঁর। এদিকে পরিবারের দাবি, শ্রীকান্ত নির্দোষ। ১১ জুন তিনি বাজার গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই পুলিশ তাঁকে আচমকা গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন, কনের সঙ্গে মালাবদলের পর বিয়ে থেকে সরল বর, পালাতে যেতেই জামাইকে ঘরে আটকালো কন্যাপক্ষ
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬ টা ৪০ মিনিট নাগাদ আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্রীকান্ত। এরপর উলুবেড়িয়া মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীকান্তকে। সেখানেই বেলা ১১ টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। এহেন পরিস্থিতি শ্রীকান্তের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন শ্রীকান্তের উপর অত্যাচার চালিয়েছিল পুলিশ। এর জেরেই মৃত্যু হয়েছে শ্রীকান্তর। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় নিহতের পরিবার। সেনার কম্যান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্তের দাবিও তোলেন নিহতের স্ত্রী। স্ত্রী অনিমা দাসের অভিযোগ, গত ১৩ জুন তিনি যখন শ্রীকান্তের সঙ্গে দেখা করতে জেলে গিয়েছিলেন, তখনই স্বামী তাঁকে পুলিশি অত্যাচারের কথা বলেন। এমনকি তাঁরা যখন হাসপাতালে শ্রীকান্তের দেহ সনাক্ত করতে যান, তখন তাঁর শরীরে আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন, প্রফেসর বর পাওয়া হল না, আদালতের নির্দেশে চাকরি যেতেই বিয়েতে বেঁকে বসল প্রেমিক
প্রসঙ্গত, ইসলাম ধর্ম ও হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপি নেত্রীর নুপুর শর্মার বিতর্কিত একটি মন্তব্যেই উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয় উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে স্থানীয় সংখ্যালঘুদের সংঘর্ষ শুরু হয়।দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন। দোকানেও ভাঙচুরও চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আধাসেনা নামাতে হয় উত্তরপ্রদেশ সরকারকে। এদিকে হাওড়াতেও সেই প্রভাব এসে পড়েছে।তাই পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই হাওড়ায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে উলুবেরিয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করতে পর্যন্ত বাধ্য হয় হাওড়া জেলা প্রশাসন। তবে হিংসার প্রভাব পড়েছে মুর্শিদাবাদ-সহ উত্ত ২৪ পরগণাতেও।
আরও পড়ুন, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল ? বিরোধীদের প্রথম পছন্দ কে, জল্পনা তুঙ্গে